গত ৮ অক্টোবর ফ্রিডম ফ্লোটিলার ‘কনশানস’ জাহাজ থেকে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছিল আলোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলমকে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগারে। অবশেষে আজ সে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ইসরাইল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে ৬৯২১ ফ্লাইটে করে কিছুক্ষণ আগে তুরস্কে পৌঁছেছেন এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
এরপর টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আজ শুক্রবার রাতেই তিনি ফিরে আসছেন দেশে। তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এই কথা।
আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যাতেই বিমানটি বাংলাদেশের উদ্দেশে তুরস্কের ইস্তাম্বুল ছাড়বে। স্থানীয় সময় ৬টা ৪৫ মিনিট, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করবে। এই ফ্লাইট ঢাকা পৌঁছাবে আগামীকাল শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের অপহরণ করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ইসরাইলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়। ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র কেৎজিয়েত কারাগার নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত। এখানে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশেষে সে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম। তিনি দেশে ফিরে আসবেন আজই।