সুপ্রিম কোর্টে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহ উদ্দীন আহমাদের প্রথম জানাযা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের ইনার গার্ডেনে গতকাল রোববার দুপুর ২টার পর এ জানাযা হয়।
জানাযায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যসহ আইনজীবীরা অংশ নেন। ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি আবু জাফর।
গতকাল রোববার বাদ এশা ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাযা শেষে সালাহ উদ্দীন আহমাদকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ছেলে আবরার আহমাদ জানান, তার বাবা বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
সালাহ উদ্দীনের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবকাশকালীন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বেঞ্চ বসেননি বলে এক মেসেজে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের ১৪তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ২০০৮ সালের ২০ জুলাই দায়িত্ব নেন সালাহ উদ্দীন। এর আগে তিনি ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।
সালাহ উদ্দীন ১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ল’ স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে সালাহ উদ্দীন আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা জেলা বারে আইন পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এর আগে ১৯৭০-এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেন তিনি।