২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন বিভিন্ন কাল্পকাহিনী বানিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ভারত সরকার। দিল্লিতে আশ্রিত পতিত স্বৈরাচার হাসিনার অপতৎপরতা রুখে দিতে সব মত পথের মানুষ ও রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন আঘাত এলে দল মত নির্বিশেষে সব দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিহত করবে। তবুও থেমে নেই হত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া ভারত। একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
এবার এলো আরেক ষড়যন্ত্রের তথ্য, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন ভারত গোপনে বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে। তার মতে বর্তমান সরকার পতনের আগে থেকেই ভারত নানা কূট কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরকে ভারত একটি পূর্ণাঙ্গ এয়ারফোর্স বেইজে রুপান্তর করতে শুরু করেছে। যা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি সীমান্ত থেকে মাত্র ২৪ মাইল দূরে এবং ফেনী সীমান্ত থেকে ৯৬ মাইল দূরে। তার মতে এই দূরত্বে একটি যুদ্ধ বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা অতিক্রম করতে খুব কম সময় নেয়।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পানাগড় বিমান ঘাটিতে বড় ধরনের পুননির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলছে। যেখানে নতুন যুদ্ধ বিমান রাখার মত বিশাল শেড তৈরি হচ্ছে ও নতুন ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ধরনের সামরিক প্রস্তুতির অর্থ ভারত বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ দিক উভয় ফ্রন্ট থেকে হামলা চালাতে সক্ষম হতে চায়।
ইলিয়াস হোসেনের পোস্টে আরো বলা হয়, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের বরাইবাড়িতে বাংলাদেশের বিডিআর ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। যেখানে ১৬ জনের বেশি বিএসএফের সদস্য নিহত হয়। এরপর অনেক বছর এই দ্বন্দ্ব নিঃশব্দে চললেও সম্প্রতি আবারও ভারতীয় নেতাদের বক্তব্যে বাংলাদেশ বিভক্ত ও দখলের হুমকি এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি সাবধানতা হিসেবে বাংলাদেশের লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর যেগুলো সীমান্ত ঘেঁষা সেগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে বগুড়া, কুমিল্লা, ফেনী, শমশেরনগর বিমানবন্দরকে কৌশলগত কাজে ব্যবহারের কথাও বলেন।
তার মতে শত্রুপক্ষের প্রথম টার্গেট হবে মীরসরাই এলাকা। যেটি কৌশলগত ও অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইলিয়াস হোসেন সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ যদি এখনই জাগ্রত না হয় এবং সঠিক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাহলে দেশটির অনেকটা অংশ শত্রুর হাতে চলে যেতে পারে।