জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, “আয়-ব্যয়ের হিসাব নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়। ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী এবং খিলগাঁও মডেল কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসি আরও বলেন, বেশিরভাগ কলেজে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে। নিয়মিত বার্ষিক অডিট না করায় অনেক কলেজে জবাবদিহিতার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এভাবে অভিভাবকহীন অবস্থায় আর যাই হোক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছেড়ে দেওয়া যায় না।
তিনি আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিটি কলেজকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত অডিটের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে বাৎসরিক লেসন প্ল্যান এবং পরীক্ষার রুটিন বছরের শুরুতেই ঘোষণা করার নির্দেশনা দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ইনকোর্স পরীক্ষা যথাসময়ে গ্রহণ, ইনকোর্সের খাতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো এবং নম্বর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কলেজগুলোকে অবশ্যই এই নির্দেশনা মানতে হবে, অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমান শিক্ষা কাঠামোর সমালোচনা করে ভিসি বলেন, “একটা স্বাধীন দেশের উচ্চশিক্ষা এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে পারে না। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি, অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোর মানোন্নয়নে কাজ চলছে বলেও উল্লেখ করেন।
বিশেষ করে, বিএড ও লথ কলেজগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কলেজের অনিয়ম কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।