নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্তের ২৭১/১ এস পিলার কাছে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়। পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকেএ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর ইউএনবি'র।
অধিনায়ক ইকবাল জানান, ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০ গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আমবাগানে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে।
বিজিবির হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে টহল দলের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশের ৫০ অভ্যন্তরে সাতনা পাড়া আম বাগান নামক স্থানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এখান থেকে। আটকদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা ও ৩টি শিশু রয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার ( ১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫), যশোহর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পুশইন হওয়া ওই ১৪ জনের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতের মুম্বাই শহরে যান।পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে।
পরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিমানযোগে পুনে বিমানবন্দর নিয়ে এসে পরবর্তীতে বালুরঘাট থানার মাধ্যমে ১২৩/সানারপাড়া বিএসএফের সদস্যরা ওই ১৪ জন বাংলাদেশিকে গাড়িযোগে সীমান্ত পিলার ২৭১/১-এস এর কাছ দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেন। শুক্রবার সকালে তাদের ধামইরহাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।