নীলফামারীর সৈয়দপুরে নৈশকোচ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ইটভাটার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার সকালে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের কামারপুকুর বাজার সংলগ্ন পতিরাম ব্রীজের কাছে।

নিহতরা হলেন, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের বুদারুলের ছেলে মাসুদ রানা (২৮) ও কুজিপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নুর ইসলাম (৩২)।

পুলিশ জানায়, দুই মোটরসাইকেল আরোহী কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের সাথে উক্ত স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নৈশকোচের চাকায় মোটরসাইকেলটি আটকা পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যান। দুর্ঘটনার পরপরই তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৈশকোচটি তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দুইটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সড়ক আইনে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

অপরদিকে জেলার জলঢাকা পৌরসভা এলাকায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) সকালে পৌরসভার উত্তর কাজীরহাট নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূর নাম রুপা বেগম (২৯)। তিনি পৌরসভা এলাকার সুমন ইসলামের স্ত্রী। সুমন পেশায় মুদি দোকান ব্যবসায়ী।

রুপার স্বামী সুমন ইসলাম বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে আমি বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকেই দেখি রুপা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি।

তবে এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, রুপা কিছুটা জেদী স্বভাবের ছিলেন।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি।