DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

দুর্ঘটনা

খামারিকে আটকে গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগ ৭টি গরু দগ্ধ

২৪ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’ এক খামারির গোয়ালঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে সাতটি গরু দগ্ধ ও একটি গরুর বাছুর মারা গেছে। সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সোন্দলপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কালামিয়া মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া জানান।

Printed Edition
Default Image - DS

২৪ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’ এক খামারির গোয়ালঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে সাতটি গরু দগ্ধ ও একটি গরুর বাছুর মারা গেছে। সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সোন্দলপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কালামিয়া মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মো. শাহজাহান বলছেন, গত ২০ বছর ধরে তিনি গরুর খামারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে ছয়টি বড় গরু ও দুটি বাছুর ছিল। রোববার রাতে গরুর দুধ দোহনের পর খামার বন্ধ করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত ২টার দিকে খামারে গরুর ডাক শুনে জানালা দিয়ে দেখেন খামারে আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, গরু বাঁচানোর জন্য তারা দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও দুর্বৃত্তরা ঘরের বাইরে থেকে দরজাগুলো বন্ধ করে রাখায় না সম্ভব হয়নি। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বাইরে দিয়ে লাগানো ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা ভেতর থেকে বের হন। এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এর আগেই খামারে থাকা আটটি গরু দগ্ধ ও গোখাদ্য পুড়ে যায়। এর মধ্যে একটি গরুর বাছুর রাতেই মারা যায়। এতে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান খামারি মো. শাহজাহান। শাহজাহানের অভিযোগ, জমি নিয়ে একই বাড়ির এক পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। তারা গত কয়েকদিন থেকে তাকে হুমকিও দিচ্ছিল। এর জেরে তারাই খামারে আগুন দিয়েছে বলে তার ধারণা। কবিরহাট উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শাহজালাল মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, খামারে দগ্ধ গরুগুলোকে রাতে এবং সকালে প্রাণীসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে আগুনে সবগুলো গরুর শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

ওসি শাহিন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।