যশোর সংবাদদাতা : যশোরে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা, এক রাজনৈতিক নেতা ও দুইজন সাধারণ যাত্রী। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত ঘটে যাওয়া এসব দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে।

প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার রাত ১১টার দিকে যশোরের বাঘারপাড়ার ভাঙুড়া বাজার এলাকায়। নড়াইল-যশোর মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার আক্তার হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর শহরতলীর ভেকুটিয়ার আবু জাফর এবং লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নিক্কন আঢ্যকে হাসপাতালে নেয়া হলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত এসআই নিক্কন আঢ্য (যশোরের বাঘারপাড়ার পুকুরিয়া গ্রামের সন্তান) ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ কর্মকর্তা। আবু জাফর স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনজনের মৃত্যুতে সহকর্মী ও স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার পারবাজার এলাকায়। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে নিজ পিকআপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঝিকরগাছার বাঁকড়া আলিপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস (৪০)। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি বাস উল্টো পথে এসে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুহুল কুদ্দুস। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে লাশ ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। তুলারামপুর ও নাভারণ হাইওয়ে থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করেছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

প্রতিদিনই যশোর অঞ্চলের সড়কগুলোতে এমন দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তার পাশে ভারী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকা এবং বাস চালকদের বেপরোয়া মনোভাবই এসব দুর্ঘটনার বড় কারণ। স্থানীয়রা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।