রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ট্রাকের ধাক্কায় খাদে পড়ে গিয়ে তিনজন নিহত এবং অর্ধশত আহত হন। আহতদের ৪০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ি এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাণীহাটি ইউনিয়নের ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪০), বেলায়েত হোসেনের ছেলে নাসিম উদ্দিন (৪৫) ও জোবদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২)। আহতদের রামেক হাসপাতালে ৫, ৮ ও ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম জানান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সামনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটি পিছনের বাসে ধাক্কা খায়। এতে ওই বাসটিরও এক পাশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে আগুন লেগে যায়। পরে দ্রুত যাত্রীরা নেমে গিয়ে আগুন নিভিয়ে দেন এবং খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। মহানগর জামায়াতের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার জানান, দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। মরহুম জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কবর জিয়ারত করতে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন তারা। তিনি বলেন, দুই বাসের অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন জামায়াত কর্মী মারা গেছেন।

ড. কেরামত আলীর শোক

এই হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী। এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করেন, আল্লাহ যেন তাদের নেক আমলসমূহ কবুল করে সকলকে জান্নাতবাসী করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন। এছাড়াও তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মহান রবের দরবারে দোয়া করেন।