রাজধানীর ভাষানটেক ও গাবতলী এলাকায় পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে কয়েকজন আহত হয়েছেন, নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে বস্তি পুড়েছে, পুড়েছে বিভিন্ন মালামালও। বস্তিতে লাগা আগুনে হয়েছেন অনেকেই গৃহহারা। তারা এখন খোলা আকাশের নীচে।
আবুলের বস্তি : ঢাকার ভাসানটেক এলাকায় আবুলের (বিআরপি) বস্তিতে লাগা আগুন আধাঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বলেন, বেলা ১১টায় আগুনের খবর পেয়ে ১১টা ১৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। মিরপুর ও কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের মোট ৫ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
আগুন নেভাতে গিয়ে বস্তির বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ একটা ঘরে আগুন লাগছিল। আগুন আমরা প্রায় নিভিয়ে ফেলেছিলাম। এরমধ্যে একটা সিলিন্ডার বার্স্ট হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে গিয়ে সিরাজুলের পিঠ পুড়ে গেছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
বস্তির আরেক বাসিন্দা বন্যা আক্তার বলেন, আমাদের পাশের বাসায় দেখলাম ধোঁয়া বাইর হইতাছে। পরে দেখি আগুন। বস্তির বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, সেখানে তার একটি দোকান আছে। ঘটনার সময় তিনি সিএনজি অটোরিকশা চালাতে বেরিয়েছিলেন। ছেলে কলেজে যায়। দোকানে তখন তার স্ত্রী ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সুযোগে লোকজন দোকানটিতে লুটপাট চালিয়েছে।
শাহী মসজিদ বস্তি : গাবতলী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে শাহী মসজিদ বস্তিতে শেষরাতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে শতাধিক ঘর। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের খবর দেওয়া হয়। চার মিনিটের মাথায় সেখানে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট পৌঁছায়।
কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ও তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৪টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি। তবে আগুনে শতাধিক ঘর, দুটি বাস এবং কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন।
গাবতলীতে ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকে শাহী মসজিদ বস্তির অবস্থান। সেখানে অনেকগুলো বাসের গ্যারেজ ও মোটর পার্টসের দোকান ছিল।