দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় সুনামগঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২ ছাত্রীসহ তিনজন সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত ছাত্রীরা হলো আফসানা আক্তার খুশি (২০)। সে সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম হাজি পাড়ার বাসিন্দা অপর জন স্নেহা চক্রবর্তী (২০) সে শহরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক বিপুল চক্রবর্তীর মেয়ে। তারা দুজনেই সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী। অন্য একজন পুরুষের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। সম্প্রতি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটা ঘটে। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স টিম, সদর ও শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ অকুস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় সুনামগঞ্জ বাস স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস বাহাদুর পুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রী বাহী সিএনজিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। সিএনজিটি ধুমরে মুচড়ে যাত্রীসহ রাস্তার পাশে ছিটকে পরে।ঘটনাস্থলে কলেজ ছাত্রী আফসানাসহ দু’জন নিহত হন। গুরুতর আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর স্নেহা নামের অপর ছাত্রীর মৃত্যু হয়। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে থাকা শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্রাম আলী নয়া দিগন্তকে বলেন একটি বাস সিএনজিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে শান্তিগঞ্জ পুলিশ চালকসহ বাসটি আটক করে। সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স টিম প্রধান এনামুল হক বলেন আনুমানিক বেলা দেড়টায় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দু’জনে লাশ উদ্ধার করছি, আরেকজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজনের নিহতের খবরে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। উল্লেখ্য মাত্র দুই দিন আগে বাসের চালক হেলপার কর্তৃক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে বাস চালক ও মালিক সমিতি সড়ক অবরোধের পর ধর্মঘট আহবান করে।পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অর্ধ দিবস ধর্মঘট পালনের পর প্রত্যাহার করা হয়।