গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণে নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের দুই নারী শ্রমিকসহ চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ এপ্রিল সকালে।

দগ্ধরা হলেন- উত্তরা ইপিজেডের সেকশন সেভেন কোম্পানির শ্রমিক তাসকিন আক্তার (২৪) ও তার বোন সুইটি আক্তার (২০), সনিক কোম্পানীর লিটন চন্দ্র (২৫) এবং দেলোয়র হোসেন (২২)

স্থানীয়রা জানায়, ইপিজেডের পার্শ্ববর্তী হাজী পাড়া এলাকার আরিফুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো ডোমার উপজেলার হরিণ চড়া ইউনিয়নের হরিণ চড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে সুইটি ও তাসকিন। সকাল ছয়টার দিকে ভাড়া বাসায় রান্নার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে দুই বোন। প্রতিবেশী ও উত্তরা ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইপিজেডের সনিক কোম্পানীতে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয় সদর উপজেলার সোনারায় বানিয়াপাড়া গ্রামের লিটন চন্দ্র ও সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর সরকার পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। তাদের উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে ইপিজেড এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়।

উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল সনিক কোম্পানীতে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক নিহত হয়।

নীলফামারী থানার ওসি এম আর সাঈদ বলেন সনিক কোম্পানীতে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে ইপিজেড এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।