খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ের অস্থায়ী ঈদ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টা সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যেই আগুনে অস্থায়ী ওই মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস হলের জমিতে ‘পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেট’ নাম দিয়ে একবছর ধরে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন তারা। অসম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে স্থাপিত মার্কেটে সব ধরনের ঝুঁকি ছিল। ভোর রাতে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে ব্যবসায়ী দ্রুত বের হয়ে আসেন। দেখতে দেখতে আগুন প্রতিটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস সিনেমা হলের স্থানে কিছুদিন আগে ছোট ছোট সাইজের ৪৪টি অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে কাপড়, কসমেটিক ও ক্রোকারিজের দোকান। এই দোকানগুলোতে ভোর সোয়া ৫টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে তাদের ৯টি ইউনিট ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় ৬টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ব্যবসায়ীরা জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস হলের জমিতে ‘পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেট’ নাম দিয়ে একবছর ধরে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন তারা। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে। তবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, নগরীর পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেটে ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে ওই মার্কেটের প্রায় ৫০টি দোকান পুড়ে গেছে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুনে আনুমানিক ৫০টি দোকান পুড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে দোকানিরা মালামাল তুলেছিলেন, তবে আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে বলা যাবে।