স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুরঃ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাভার্ডভ্যানের সজোর ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যও রয়েছেন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বড়চালা এলাকায় এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।

নিহতরা হলেন—বগুড়ার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট গ্রামের ছাবেদ আলী প্রামানিকের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩০), তাদের ছেলে মো. হুরাইরা (১২), এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে শ্রীপুরমুখী একটি দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যান বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। বাকি তিনজনকে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।

সড়কে দুর্ঘটনার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, “এই সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনায় আতঙ্কে থাকতে হয়। অতিরিক্ত বাঁক, গতি ও নজরদারির অভাবে শুধু গত কয়েক মাসেই প্রাণ গেছে অন্তত ১০ জনের।”

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সুরুজ উজ জামান জানান, “দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, বারবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কালিয়াকৈর-মাওনা সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রুতগতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, স্পিডব্রেকার, ও ট্রাফিক তদারকি ছাড়া এ পথ যেন মৃত্যু ফাঁদে রূপ নিচ্ছে।