একই পরিবারের তিন ভাইয়ের তিন সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার কারণে এলাকা জুড়ে শোকের মাতম। ঘটনার ৫ দিন পরেও কাটেনি শোক, ঈদের আনন্দের ছোয়া লাগেনি পরিবারগুলোয় । জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ঢোলভাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপার পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের আব্দুল্লাহ আল হারুনের একমাত্র ছেলে দিনাজপুর আমেনা বাকীতে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির ছাত্র মনিরুল হাসান নিরব (১৫), হারুনের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ প্রধানের একমাত্র ছেলে গাইবান্ধা কৃষি ডিপ্লোমার ৩য় বর্ষের ছাত্র ইবলুল হাসান (২০), হারুনের চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন আংগুরের একমাত্র ছেলে আহমেদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র লিয়াকত প্রধান (১৮) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার তিন ভাই ঈদ মার্কেট করার জন্য ঢোলভাঙ্গা থেকে পলাশবাড়ী যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ৩টা দিকে ঢোলভাঙ্গা বাজারের পশ্চিমে দোকানঘর নামক স্থানে গাইবান্ধাগামী বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইবলুল হাসান, লিয়াকত প্রধান ও অটোরিকশা চালক গনি মিয়াসহ (৪০) তিনজন নিহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে হারুন সুপারের ছেলে স্কুল ছাত্র নিরব মারা যায়। সংবাদ শুনে পলাশবাড়ী উপজেলার খামার নিড়াইল গ্রামে সেদিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে আর কান্না ও আহাজারিতে পরিবেশ ভাড়ি হয়ে উঠে। ডুকরে ডুকরে আর্তনাদ করতে থাকে সবাই। একদিকে কালো ঘুটঘুটে অন্ধকার বিদুৎ নেই, অন্যদিকে অঝড়ধারায় বৃষ্টি তারই মাঝেই রাত সাড়ে ১১টায় তিন ভাইকে একসাথে জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়।
দুর্ঘটনা
সন্তানদের হারিয়ে বাবা-মা পাগল প্রায় এলাকায় শোকের ছায়া
একই পরিবারের তিন ভাইয়ের তিন সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার কারণে এলাকা জুড়ে শোকের মাতম। ঘটনার ৫ দিন পরেও কাটেনি শোক, ঈদের আনন্দের ছোয়া লাগেনি পরিবারগুলোয় ।