ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ঢাকা-বাইপাস সড়কের যোগীতলা আন্ডারপাস এলাকায়।

নিহতরা হলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে মাহবুবুর রহমান বাবু (৪০) এবং একই উপজেলার বাটুয়াখানা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে মো. ওবাইদুল হক (৪৭)। মাহবুবুর রহমান বাবু গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে নারায়ণগঞ্জে কাজ করতেন, আর ওবাইদুল হক ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি। জিএমপিথর বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটি শেষে তারা দুজন একটি মোটরসাইকেলে করে নারায়ণগঞ্জে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যোগীতলা আন্ডারপাস এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান তারা এবং ঘটনাস্থলেই ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান দুইজনই।

ওসি কায়সার আহমেদ আরও জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় সেটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢাকা-বাইপাস সড়কে অতিরিক্ত ট্রাক চলাচল ও বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিদ্যুতায়িত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু : গাজীপুর মহানগরের চতর শিমুলতলী এলাকার এটিআই (এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) পুনর্বাসন প্রকল্পে বসতবাড়িতে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোবারক হাওলাদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আগুনে পুড়ে মারা যায় ২টি ছাগল। রোববার (৬ এপ্রিল) ভোররাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন লাগার সময় বাড়ির মালিক মোবারক হাওলাদার নিজেই পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে আগুনে ঘরের বৈদ্যুতিক তার ও মিটার পুড়ে গিয়ে পুরো টিনশেড ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পাশের ঘরের টিন খুলে বাথরুম থেকে পানি আনতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মোবারক হাওলাদারের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোবারকের ছেলে মাসুম, মেয়ে রোজিনা, মেয়ের জামাতা রুবেল ও প্রতিবেশী হোসেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতের ছোট ভায়রা সারোয়ার হোসেন জানান, টিনশেড ঘরটির এক অংশে রান্নার জ্বালানী ও অপর অংশে দুটি পোষা ছাগল রাখা হতো। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে নিয়মিত কয়েল জ্বালানো হতো। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ঘরের ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্রসহ প্রায় সব মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে যায়। আগুনে মারা যায় ঘরের ভেতরে থাকা দুটি ছাগলও।

নিহতের মেয়ে রোজিনা জানান, “প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গিয়ে দেখি পাশের ঘরে আগুন। বাবা নিজে পানি আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। আমরা কিছুই করতে পারিনি।” ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

গত ১৮ মার্চের হামলাটি ছিল যুদ্ধ বিরতির পর সবচাইতে বড় ধরনের হামলা। জালিম ইসরাইলি বাহিনীর এক দিনের এই বর্বর হামলায় নারী-শিশুসহ চার শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলার মাধ্যমে ইসরাইলিদের যুদ্ধবাজ জঙ্গি মনোভাবই আবার অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হলো।

ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ইসরাইলী বাহিনীর উপর্যুপরি বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংগঠনের সকল শাখা এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি।