সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা : গভীর রাতে ঘরের চালে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে পুরো পরিবারকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পুড়িয়ে মেরে ফেলার এই অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। আগুনে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ২টি পরিবারের ৫ জন শিশুসহ ১১ টি মানুষ। নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে পরিবারটি। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা তারা।

বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক মেধাবী শিক্ষার্থী তার বই খাতাসহ লেখাপড়ার সব উপকরণ এবং কষ্ট করে তৈরী করা বিষয়ভিত্তিক নোট হারিয়ে আহাজারী করছে। এ ঘটনায় এলাকায় এক চরম হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। টনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ মে) রাত পৌনে ১২টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চরকপাড়ায় (জোদ্দারপাড়া) মৃত বাছান মামুদের ছেলে আব্দুল আজিজ ও হানিফ উদ্দিনের বাড়িতে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হানিফ উদ্দিনের মাটির দেয়াল ও ধানের খড়ের চালের দুটি ঘর এবং আব্দুল আজিজের সেমিপাকা টিনের ২টি ও একটি ছাপড়া ঘর সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়, বই-খাতা, কাগজপত্রসহ সব কিছুই ছাই ও কয়লা হয়ে পড়ে আছে। পুরো বাড়ি জুড়ে কান্নার রোল। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ কৌতুহলী লোকজন আসামাত্রই সেই রোল আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে। তার মাঝে বইয়ের জন্য আহাজারী করা এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক মেধাবী শিক্ষার্থীর কান্ন্াই বেশি মর্মাহত করছে আগন্তুকদের। আগুনে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে তরিকুলেরও ২টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমান ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার হামিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সহ ক্ষতির পরিমান নিরুপনে প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে আগুনের সুত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে যে, দাহ্য কোন পদার্থের মাধ্যমে আগুন ধরেছে। বিশদ তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন, বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।