কক্সবাজারের উখিয়া সদর বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে ১৬টি দোকান ও ২টি ঘর। এ ঘটনা এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে৷

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া কাঁচা বাজার সড়কের একটি লন্ড্রির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস কাজ করে। এরপর ধাপে ধাপে রামু, কক্সবাজার, টেকনাফসহ মোট ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা দু‘ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী (৫৭) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার মৃদাখালী এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে এবং উখিয়া সদরে একটি বেডশিট ও পর্দার দোকানের মালিক ছিলেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীসহ স্থানীয় অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তথ্যমতে, আগুনে প্রায় দু’কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা হবে।

আহত সাইফুল ইসলাম জানান, আমি আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে আহত হয়েছি। আমার সঙ্গে এক ফায়ার ফাইটারও আহত হয়েছে৷ আগুনের ধোঁয়ায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসায় একটু সুস্থ হয়েছি।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের দাবি, বাজারে যথাযথ আগুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন।

কক্সবাজার সদর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শফিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। উখিয়া, রামু, কক্সবাজার ও টেকনাফের মোট ১০টি ইউনিট মিলে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় আমাদের এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ১৬টি দোকান ও দুটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছাম্মত নাসরিন জেরিন জানান, দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মোহাম্মদ আলীর লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। এছাড়া আহত ১০ জনের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।