খুলনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আফজ উদ্দিন (৪০), গলায় ফাঁস দিয়ে নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ছাত্র মো. শাহাদাত হোসেন (২৫) ও বাসের চাপায় শাহীন শেখের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গিয়ে আফজ উদ্দিন (৪০) নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল পৌণে ১০ টার দিকে নগরীর টিভি ক্রস রোড ডা. আহসান আলীর নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত আফাজ উদ্দিন ওই এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, নগরীর টিভি ক্রস রোড এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক আহসান আলীর নির্মাণাধীন ৩ তলা ভবণে রাজ মিস্ত্রির কাজ করছিল আফাজ উদ্দিন। কাজ করার সময়ে অসাবধনাতাবসত তিন তলা ভবণ থেকে পড়ে গিয়ে আফাজ বুকে ও মাথায় গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ও তার সহযোগীরা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পৌণে ১২ টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের মো. শাহাদাত হোসেন (২৫) নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় একটি আত্মহত্যা মামলা হয়েছে মামলা শাহাদাতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাহাদাত হোসেন ফুলবাড়িগেট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স কাসেম স্টোরের মালিক মো. আবুল কাশেমের সেজ ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে শাহাদাত হোসেন তার নিজ শয়ন কক্ষে ঘরের আড়ার সাথে লাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সেহরি খাওয়ার জন্য বড় ভাই আল মামুন ডাকাডাকি করতে থাকলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার উপরের অংশ খুলে ঘরে প্রবেশ করে আড়ার সাথে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো শাহাদাতকে দেখতে পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে কুয়েট মেইন গেট সংলগ্ন গ্রিন বাবুর ক্লিনিকে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানার এস আই মো. মিকাইল হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে। তিনি বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর সময় তার গলায় রশির দাগ ছাড়া অন্য কোন ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে খুলনায় নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের চাপায় শাহীন শেখ নামের এক ইজিবাইক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে খানজাহান আলী (র.) সেতুর পশ্চিম দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন লবণচরা থানাধীন বুখারিয়াপাড়া মোসলেম শেখের ছেলে।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ধানসিঁড়ি পরিবহনের ব্যানারে তিতাস পরিবহন নামে একটি গাড়ি বরিশাল হলে খুলনার দিকে আসছিল। রূপসা সেতু পার হয়ে পশ্চিম দিকে এসে পরিবহনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহীন শেখের ইজিবাইকের ওপর উঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে ইজিবাইক চালক শাহীনের মৃত্যু হয়। গাড়িটিকে আটক করা গেলেও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বাসের আঘাতে অপর একজন মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।