গাজীপুরের পূবাইল থানার মীরেরবাজার এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে এক শিশুসন্তান মৃত্যুর পর এবার মারা গেল তার বাবা ও মা। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) টানা কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে মা হাফিজা আক্তার (২০) এবং বৃহস্পতিবার ভোরে বাবা মো. রিপন (২৩) মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে গত রোববার সকালেই মারা যায় তাদের তিন মাস বয়সী শিশু রায়হান। গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় এই তরুণ দম্পতির পুরো পরিবারই মৃত্যুর মুখে পতিত হলো।

ঘটনার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম জানান, গত রবিবার ভোরে শিশুসন্তানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য রান্নাঘরে পানি গরম করতে যান হাফিজা। চুলা জ্বালাতে দিয়াশলাই ধরানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে দগ্ধ হন হাফিজা, তার স্বামী রিপন ও শিশু রায়হান।

তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুটি কিছুক্ষণ পরই মারা যায়। মা হাফিজার শরীরের ৭৫ শতাংশ এবং বাবা রিপনের শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনই মৃত্যুবরণ করেন।

ওসি জানান, আগুন লাগার সময় ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডারের রেগুলেটর ঠিকমতো বন্ধ না থাকার কারণে সারারাত গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমে ছিল।

ফলে সকালে দিয়াশলাই ধরানোর সঙ্গে সঙ্গেই গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনে ঘরের তোষক, কাপড় ও অন্যান্য মালামালও পুড়ে যায়। মৃত ওই দম্পতির বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার তারিয়া বাজার এলাকায়।