আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা : আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে গেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও রেললাইনে ক্রসিং পারা হওয়ার সময় নাছিম আহমেদ জয় (২৬) নামের এক মেরিন প্রকৌশলী মোটরসাইকেলসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। গত ২৭ জুলাই বেলা দেড়টায় সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান গেটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে থানা পুলিশ তার খন্ত বিখন্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নাছিম আহমেদ জয় আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির চকসোনার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে একজন মেরিন প্রকৌশলী বলে জানা গেছে।

সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে লালমনিহাট হাট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রবেশ করছিল । সেই মুহুর্তে মোটর সাইকেল আরোহী নাছিম আহমেদ জয় তার মোটারসাইকেল চালিয়ে গেট বন্ধ থাকা সত্বেও গেটের ভিতর প্রবেশ রেলক্রসিং এর ভিতর দ্রুত রেললাইন পার হতে গেলে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে ধাক্কায় প্রায় দেড়শত গজ দূরে ছিটকে পড়ে সে খন্ড বিখন্ড হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

বেনাপোলে প্রিন্স হত্যা মামলায় মিজানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

শার্শা যশোর সংবাদদাতা : বেনাপোলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যার ২১ বছর পর ‘উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

রায়ের সময় আসামি মিজান ও সেকেন্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান মিজান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী মোড়লের ছেলে ও নিহত প্রিন্সের আপন দুলাভাই। অপর আসামিরা হলো, যশোরের বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামের কালু ওরফে ঘাড়কাটা কালুর ছেলে সেকেন্দার, একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জসিম ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটাডাঙা গ্রামের গোলাম ম-লের ছেলে ইকবাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, প্রিন্স ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট প্রিন্স তার গ্রামের বাড়ি পোড়াবাড়ি নারায়ণপুর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়ায় চালানোর উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি পর প্রিন্সকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনরা। পরদিন সকালে ছোট নিজামপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে প্রিন্সের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিহত প্রিন্সের মামা বকতিয়ার অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রিন্সের মোটরসাইকেলটি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে প্রিন্সকে হত্যা করেছিল আসামিরা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২১ বছর পর এক রায়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মিজান ও সেকেন্দার কারাগারে আটক আছে।