সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এসময় আরও ২০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে অন্ততঃ দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় সীতাকু-ের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সিডিএম নামক লোকাল বাস বটতলা এলাকায় আসলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি ড্রাম ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ লেগে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।

বাসের বেঁচে যাওয়া যাত্রী মাসুদ। যিনি এই বাসের যাত্রী হয়ে ঢাকা থেকে উঠেছিলেন। তিনি বলেন, বেপরোয়া গতির বাসটি হঠাৎ এলোমেলোভাবে বাঁক দিতে থাকে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে সজোড়ে ধাক্কা দেয়। এরপরই বাস সহ আমরা খাদে পড়ে যাই। এ সময় ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সীতাকু- ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানে একজন মারা যান। সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. শারমিন জানান, অন্তত ২০ জন আহত রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের অধিকাংশই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এবং অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত পাঁচ জনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের নাম কামাল, তার বাড়ি ছাগলনাইয়া। অন্যজন সাহা আলমের বড়ি কুমিল্লায়। তিনি চট্টগ্রামের ইয়াং ওয়ান কারখানায় চাকরিরত ছিলেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ইব্রাহিমের বাড়ি চন্দনাইশ, রিঙ্কুর মিটাছড়া, অর্ণবের মিঠাছড়া, জাহাঙ্গীরের ফেনি, নয়ন ও ওরুকনে রানী নাথের সীতাকু-ের জিপিএইচ এলাকায়। আহত অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ জাকির রব্বানী ৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। অন্যজনকে সীতাকু- মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। নিহতদের সবাই পুরুষ।