মিয়া হোসেন, মুহাম্মদ নূরে আলম : আগামীর বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটি লড়াইয়ে ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটি লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটি হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য আমরা যা দরকার করব। এতেও বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রথমবারের মতো আয়োজিত মহাসমাবেশে জামায়াতের ডাকে সারাদেশ থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে লাখো লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। পুরো ঢাকায় ছিল সমাবেশের আমেজ।

বেলা দুইটার দিকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও নাতে রাসূলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের মূল পর্ব। নাতে রাসুল পরিবেশন করেন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। পরে সমাবেশে উপস্থিত জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

বিকেল ৫টার পরে বক্তব্য শুরু করেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্যের এক পর্যায়ে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ালেও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে যান, পরে বসেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে তিন নেতাকর্মীর মৃত্যুর খবর দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজকের সমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে আমাদের তিন ভাই ইন্তিকাল করেছেন। আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন। পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।

তিনি বলেন, জাতির সামনে আমাদের অনেক করণীয়। অতীতে বুক পেতে দিয়ে জামায়াত শহীদ দিয়েছে। আজ যারা নতুন কথা বলছেন, তাদের অতীতের অবস্থান ইতিহাসে নেই। সুতরাং আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। কিন্তু কারোর জাতিকে ছোট করে কথা বলার অধিকার নেই।

তিনি আরো বলেন, আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দিত, হয়তো আজকের বাংলাদেশ আমরা দেখতাম না। অনেকের জীবন হয়ত ফ্যাসিবাদীদের হাতে চলে যেত। আজকে যারা বিভিন্নভাবে দাবিদাওয়া তুলে ধরছেন, তখন তারা কোথায় থাকতেন? সুতরাং অহংকার করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কাউকে ছোট করে কথা না বলি। না হলে আমরা বুঝে নেব, স্বৈরাচারী বীজ তাদের মনে বাসা বেঁধেছে। জাতীয় ঐক্যকে ধারণ করুন। অহংকার নয়, সংযম দেখান। অতীতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। সেই লড়াইয়ে আমরা জিতেছি। এখন আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিকে মূলোৎপাটনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। জামায়াতে ইসলামী সেই লড়াইয়ে ছিল, থাকবে এবং জয়লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব, ইনশা আল্লাহ। এ লড়াই বন্ধ হবে না। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, জামায়াত যদি আল্লাহর ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে, ইনশা আল্লাহ। আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, যদি আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াত থেকে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেন, তাহলে কোনো এমপি-মন্ত্রী আগামী দিনে সরকারি কোনো প্লট গ্রহণ করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন কোনো গাড়ি চড়বেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী নিজের হাতে কোনো টাকা চালাচালি করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী যদি তাঁর নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁরা তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই। যুবকদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি বলতে চাই, বাংলাদেশর কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মুক্তির জন্য আমার লড়াই নয়। রাস্তার একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী চা বাগানের একজন শ্রমিক, রক্ত পানি করা ঘাম ঝরানো রিকশা চালক ভাই, মাঠে-ময়দানে বাংলাদেশের মানুষের মুখে যারা এক মুঠো ভাত তুলে দিতে চায় আমার সেই কৃষক বন্ধুটি আমি তাদের হয়ে আজকে কথা বলতে এসেছি। আমি কোনো অভিজাত শ্রেণির হয়ে কথা বলতে আসিনি।

বক্তব্যে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার আফসোস, যারা ২০২৪ সালে শহীদ হয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে শহীদ হতে পারিনি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই- আগামী দিনের ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আল্লাহ যেন আমাকে শহীদের মর্যাদা দেন।

জামায়াত আমির আরও বলেন, আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। শিশুদের বন্ধু, যুবকদের ভাই, প্রবীণদের সহযোদ্ধা হয়ে এসেছি, এই জাতির মুক্তির প্রত্যয়ে।

তরুণ প্রজন্মকে বিশেষভাবে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা শুধু দর্শক হয়ে থাকবে না, এই দেশ গঠনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। এটা শুধু কোনো শ্রেণির যুদ্ধ নয়, এটা চাষি, মজুর, ছাত্র, যুবকÑসব শ্রেণির মানুষের যুদ্ধ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, এটি আল্লাহর ইচ্ছা। আবার অসুস্থ হয়ে পড়াটাও আল্লাহর পরীক্ষা। যতদিন হায়াত আছে, ততদিনই আমি লড়াই করে যাবো।

ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে ২০২৪ সালে সংঘটিত ‘গণহত্যার’ বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, যে নির্মমতা চালানো হয়েছে, তার বিচার এই দেশের মাটিতেই হতে হবে।

তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশে পুরোনো কোন কিছুই থাকবে না। পুরোনো এই বস্তাপচা জিনিস যদি এই দেশে থাকে তাহলে কেন এত লোক জীবন দিলো? নতুন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ চলবে। এছাড়া এদেশ চলবে না।

বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছা, শরীর আমাকে সাময়িকভাবে সহযোগিতা করেনি। এটাও আল্লাহর ইচ্ছা যে এখন আল্লাহ আমাকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন। আমার মউত আল্লাহ-নির্ধারিত সময় থেকে এক সেকেন্ড আগে হবে না এবং হায়াত যা দিয়েছেন, তার এক সেকেন্ড আগেও আমি যাব না।’

বক্তব্য শেষে জামায়াত আমির নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়ান। তখন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রচ- গরমে অনেকে যেমন অসুস্থ হয়েছেন, আমাদের আমিরে জামায়াতও সাময়িক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে কথা বলা ও সমাপ্ত ঘোষণার তৌফিক দিয়েছেন।’

সাত দফা

জামায়াতের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: ১. নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ। ২. জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার, ৩. প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার। ৪. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন। ৫. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন। ৬. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন। ৭. এক কোটির বেশি প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা।

গতকাল সকাল ১০টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এরপর হামদ-নাত ও ইসলামি সংগীত পরিবেশন করাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতি পরিবেশনা করা হয়।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে স্বতস্ফুর্তভাবে মানুষ অংশ গ্রহণ করেছে। বাসে, ট্রেনে ও লঞ্চে করে লাখো লাখো মানুষ সমাবেশে এসেছে। শুক্রবার রাত থেকেই মাঠে লোকজন আসতে শুরু করে। সকাল দশটার আগে মাঠ পুরো কানায় কানায় ভরে যায়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেন দলটির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের মূল আকর্ষণ ছিল অত্যাধুনিক মঞ্চ, ও আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া। তিন স্তরের সাজানো লল-সবুজের মঞ্চে বক্তার জন্য সামনে রাখা হয়েছে দাঁড়িপাল্লা লগো সম্বলিত ডায়াস। আর মঞ্চে মাথায় লেখা “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।” বক্তব্য চলাকালীন সময়ে বাক প্রতিবন্ধীদের সাংকেতিক ভাষায়ও উপস্থাপন করা হয়। চারদিকে ও মাঠের বাইরে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল এলইডি স্ক্রীণ। ড্রোন ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি ও মানুষের মিছিলসহ পুরো সমাবেশের চিত্র সেখানে দেখানো হয়েছে। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট, অজুর জায়গা ও মেডিক্যাল ক্যাম্পসহ সার্বিক আয়োজন ছিল সমাবেশে। কোন ধরনের প্রস্তুতির কমতি ছিল না আর মানুষের অংশগ্রহণেরও কোন কমতি ছিল না। সমাবেশে বিভিন্ন দলের বক্তারা জামায়াতের সাত দফা দাবি দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর বিবেচনায় সমর্থন ব্যক্ত করে বক্তব্য প্রদান করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কারও কারও পরনে জামায়াতের লোগো-সংবলিত টি-শার্ট। কারও কারও মাথায় বাঁধা দলীয় সাদা ফিতা। আবার কেউ কেউ এনেছেন দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। মিছিল নিয়ে দলীয় স্লোগানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন তারা। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করেছেন জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকেরা। একই সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের মূল মঞ্চ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশে। ভিড়ের কারণে সমাবেশের মূল মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকেই শাহবাগ মোড়, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ফার্মগেট এলাকা ও মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়। বিভিন্নস্থানে বসানো ডিজিটাল পর্দায় সমাবেশ দেখেছেন তারা। জামায়াতের এ সমাবেশ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছে। সমাবেশ শেষে মাঠ পরিস্কার করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা পুরো মাঠ পরিস্কার করবেন।

জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের বাচ্চু, গণ-অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমযান আলী, শহীদ আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ, হিন্দুমহাজোটে সভাপতি ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, শহীদের পিতা আবুল হাসান, শহীদের ভাই রবিউল আউয়াল, জুলাই যোদ্ধা, শাহ আলম, লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট পার্টির সবাপতি একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, জুলাই যোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান, খেলাফত মজলিসের নেতা আবু জাফর কাসেমী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা মাওলানা মওদূদ হাসান, জাগপার রাশেদ প্রধান, ঢাবি শিবির নেতা সাদিক কাইয়ূম, জুলাই যোদ্ধা জুনায়েদ রহমান, রেদওয়ান নাবিল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ।