রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি হবে। গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষের শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সার্ক ফোয়ারা মোড় সংলগ্ন ‘পান্থকুঞ্জ পার্ক’ ও হাতিরঝিল জলাধারের উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিলে বিনোদন ও অন্য উদ্দেশ্যে জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে হস্তক্ষেপ না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) থেকে পলাশী পর্যন্ত সম্প্রসারণে ওই পার্ক ও জলাধারের উন্মুক্তস্থানে নির্মাণের বৈধতা নিয়ে ওই রিটটি করা হয়।
সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল জলাধারের উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণকাজের বৈধতা নিয়ে পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের’ সমন্বয়ক আমিরুল রাজিবসহ ৯ বিশিষ্ট নাগরিক গতকাল (মঙ্গলবার) রিটটি করেন। অপর আবেদনকারীরা হলেন- অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অধ্যাপক আদিল মোহাম্মাদ খান, আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম, লেখক ও গবেষক ফিরোজ আহমেদ ও গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নাঈম উল হাসান।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়–য়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খান জিয়াউর রহমান। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।