# ডিজিটাল জগতে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে
# আমজনতার সাথে দাবী আদায়ের আন্দোলনে মিশে নাশকতা চালাচ্ছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের অনেকে নেতা। কিন্তু ফ্যাসীবাদি দল আওয়ামী লীগের দোসররা চতুর্দিকে ওত পেতে আছে। সময় সুযোগ বুঝে এরা তাদের মিশন সফল করতে মাঠে নামছে। বড় কোন ঘটনা ঘটলেই আম জনতার সাথে এরা মিশে গিয়ে নাশকতা করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন সময় এসব ফ্যাসিস্ট বিভিন্ন রুপে আসছে। সর্বশেষ মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষা উপদেষ্টাও সচিবের পদত্যাগের দাবী নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে মিশে গিয়ে সচিবালয়ে তান্ডব ঘটায়। যদিও তারা যখন সচিবালয়র দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে তার কয়েকঘণ্টা আগেই সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কেন এরা সচিবালয়ে ঢুকে উপদেষ্টার গাড়ি ভাংচুর, পুলিশকে পেটানোসহ তান্ডব চালালো। উত্তর খুজতে গিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদের ভেতরে ঢুকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ তান্ডব চালিয়েছে। এদের অনেকের পরিচয়ও সনাক্ত হয়েছে। এর আগেও আনসার পরিচয়ে ঘটিয়েছে অঘটন। আন্দোলনের নামে এনবিআর শাটডাউন কর্মসূচির নামে কয়েক হাজার কোট টাকার বাণিজ্যিক ক্ষতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে এসব অপতপরতা রুখে দিতে। প্রধান উপদেষ্টা গতকাল বলেছেন, এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসিনার পতন সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদের ছায়া সমাজের প্রতিটি স্তরে লুকিয়ে রয়েছে। ফ্যাসিস্ট শক্তির সহযোগীরা যারা একদা স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষকতায় লাভবান হয়েছিল এখনো চতুর্দিকে ওত পেতে আছে। রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, গণমাধ্যম থেকে শুরু করে ডিজিটাল জগতে তাদের সুকৌশলী তৎপরতা সমাজের নৈতিক ভিত্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ফ্যাসিবাদের অদৃশ্য উপস্থিতি, এর দোসরদের কার্যক্রম দেশে অশান্তি তৈরি করছে। ফ্যাসিস্ট মানসিকতার বাহকেরা রাজনীতি, শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা না বললেও, তাদের কর্মকা-ের সেই বিষাক্ত প্রভাব স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রভাবশালী আমলা যারা হাসিনার শাসনে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং নতুন ব্যবস্থায় নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। কিছু গণমাধ্যম, যারা হাসিনার প্রচারণায় সহায়ক ছিল, এখনো সত্যকে বিকৃত করে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখছে। পুঁজিবাদী ভোগবাদ মানুষকে ফ্যাসিবাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। কিছু নেতা ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট দোসররা এখন ডিজিটাল জগতে তাদের প্রভাব বিস্তার করছে। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমে তারা মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের কৌশলগুলো হলো, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়ে জনমনে অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে, বিদ্বেষমূলক প্রচারণা তা হলো শিশু আছিয়ার হত্যাকান্ডে মতো সংবেদনশীল ঘটনাকে ব্যবহার করে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ উসকে দেওয়া হয়েছে। ট্রোলিং ও সাইবার হুমকি। সত্যবাদী কণ্ঠস্বরকে দমন করতে ট্রোলিং ও ব্যক্তিগত আক্রমণ চালানো হচ্ছে। প্রোপাগান্ডা কনটেন্ট, আকর্ষণীয় ভিডিও, মিম ও পেইড প্রচারণার মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ফ্যাসিস্ট আদর্শ ছড়ানো হচ্ছে।