সকাল তখন ৯টা। বাংলাদেশ মেডিকেলের সামনে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে অপেক্ষায় একদল মানুষ। নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। সবার মাঝে টান টান উত্তেজনা। অপেক্ষা সইছে না। কখন আসবেন প্রিয়জন! দেখা হবে বহুদিন পর। সীমাহীন অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে। মুখে চওড়া হাসি দিয়ে বেরিয়ে এলেন বন্দিশালা কেবিন থেকে সফেদ সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরিহিত রক্তরাঙা চুল-দাঁড়ি সমেত একজন সুপরুষ। দুই হাত তুলে জানান দিলেন সবাইকে-- ছিলাম, আছি এবং থাকবো আপনাদের সাথেই। তাকে পেয়ে সবাই আবেগে আপ্লুত। তিনি আর কেউ নন মৃত্যুদ- থেকে খালাস পেয়ে কারাকেবিন থেকে বের হয়ে আসা সবার প্রিয় আবু তোরাব মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম ওরফে এটিএম আজহারুল ইসলাম।
গতকাল বুধবারের সকালবেলার পরিবেশটা এমনই ছিল বর্তমান বাংলাদেশ মেডিকেলের সামনের। ১৩ বছর কারাভোগের পর মৃত্যুদ- কাটিয়ে তার কারামুক্তির অপেক্ষায় তখন হাজার হাজার মানুষ। মানুষে মানুষে সয়লাব শাহবাগ মোড়। চলছে তার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে শাহবাগে তৈরি করা সংবর্ধনার মঞ্চে যান তিনি। সেখানে গিয়ে কারা মুক্তির অভিব্যক্তির জানান দেন স্বকন্ঠে। বললেন -- আজ আমি মুক্ত-স্বাধীন।
শাহবাগ মোড়ে এমন এক জায়গায় এটিএম আজহারুল ইসলামের জন্য সংবর্ধনার মঞ্চ তৈরি করা হয়; যেখানে দাঁড়িয়ে বিপ্লবীরা স্বৈরাচারের রাষ্ট্র অচল করে দেওয়ার শাট-ডাউন ঘোষণা দিতেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়নের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হতো। জুলাই-আগস্টের সরকার বিরোধী আল্টিমেটামগুলোও এখান থেকেই জানান দেওয়া হতো। সবশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিও উঠে এই স্থান থেকে। মঞ্চে উঠে এটিএম আজহারুল ইসলাম দারাজ কন্ঠে বললেন--- আজ আমি মুক্ত, স্বাধীন। চাইলেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ‘হত্যাকা-ের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার। এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা যেখানে যে পর্যায়ে জড়িত। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তা নাহলে খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এটিএম আজহার বলেন, ‘আমি প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন। এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক এখন।’
মৃত্যুদ- থেকে খালাসের জন্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা (আদালত) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না। আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে জনগণ ন্যয়বিচার যেন পান, সেই ব্যবস্থাই তারা করবেন।
তার মামলায় যেসব আইনজীবী লড়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান এটিএম আজহার। পরে তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে বিপ্লবের নায়কদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। তাদের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছাত্র সমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যার কারণে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা আমার নেতা ছিলেন, তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’ এসময় মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে স্মরণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে বিনাচিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া বক্তব্যে আজহারুল ইসলাম আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বারবার তার কণ্ঠ থেমে যাচ্ছিল। ভারী কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর পর আমি আজ ছাড়া পেলাম। আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি এখন স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক। আল্লাহ যদি তৌফিক দেন, অবশ্যই বাকি জীবন আপনাদের সাথেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।
নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমার অপরাধ কী ছিল? আমার অপরাধ ছিল আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আমি যেই অপরাধে যেই ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে ফিরে এসে আমীরে জামায়াতের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি, আমি যেন আজীবন সেই দীনের পথে টিকে থাকতে পারি। আমি যেন শহীদ হতে পারি। সেই তাওফিক আল্লাহর কাছে কামনা করছি। যে শাহাদাতই আমাকে জান্নাত দিতে পারে। আমাদের নেতৃবৃন্দ শাহাদাতের তামান্না লালন করতেন। যেই দল যে জাতি শাহাদাতের তামান্না করে এগিয়ে যায় সেই দল-জাতিকে কখনও কেউ দমাতে পারে না।’ এটিএম আজহার বলেন, ‘এই মুক্তি শুধু আমার নয়, এটি একটি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল। একটি অন্যায় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আমাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সত্য চিরকাল চাপা থাকে না। আজ সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সর্বপ্রথম আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তবে এটা সত্য যে, এতদিন দেশে ন্যায়বিচার ছিল না। বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে। আমাদের অনেক ভাইকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে।’ এ সময় তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবীদেরও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি। তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৩৬ জুলাইয়ের মহাবিপ্লবীদের। যাদের রক্ত, ঘাম আর আন্দোলনের ফসল আজকের এই মুক্তি। তাদের কারণেই ৫ আগস্ট দেশের জনগণ একটি অত্যাচারী স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে।’
আজহার বলেন, ‘যারা ১৫ বছর ধরে রাজপথে নিজেদের রক্ত ঢেলে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করি। এই রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। এই আত্মত্যাগই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে।’
আবার রাজপথে থাকার অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এই মুক্তির দায়িত্ব আমার ওপর আরও অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তবে জীবনসায়াহ্ন পর্যন্ত জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও ইসলামি মূল্যবোধের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব। আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।’ এসময় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে বক্তব্য দেওয়ার সময় নয়। আমি শুধু আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করি, যাকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদ- দিয়ে যার ওপর জুলুম করা হয়েছে, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সবাই এই মজলুম ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ থেকে জাতির প্রয়োজনে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারেন। সংবর্ধনার মঞ্চ থেকে হুটখোলা কালো গাড়িতে করে এটিএম আজহারকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থেকে বাংলামোটর হয়ে মগবাজারের কেন্দ্রীয় অফিসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।
মতবিনিময় সভা ;
শুরুতেই এটিএম উপস্থিত সবাইকে কুশল জিজ্ঞেস করেন। এরপর তিনি স্মৃতি চারণ করে বলেন, আমি আন্তরিকভাবেই কামনা করতাম যখন আদালত ফাসির হুকুম দিলো; আমি একদম মাসনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যে আল্লাহর কাছে হাজির হব্।ো আমি পরিবারে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছি। কিন্তু জানিনা ২০১৯ সালে করোনা এলো। তখন ডিলে হতে হতে সাড়ে সাত মাস হলো কনডেম সেলে অতিবাহিত হলো। যেখানে ফাঁসির আসামিরা থাকে। সবচেয়ে কষ্ট হয়েছিল দুই নম্বর সেলে; সেখানে ছোট একটা ফাঁসির সেল জানালা নাই। প্রায় দশ মাস ছিলাম। নিজামী ভাইকেও কিছু দিন সেখানে রাখা হয়েছিল। ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল যেহেতু আওয়ামী লীগের আগের দৃশ্য আমার জানা আছে। তারা দুই চার দশ বিশ হাজার মানুষ মেরে ফেলেও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। তাদের হাতে সেই শক্তি এবং সুযোগ আছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৫ ই আগস্ট ৯টা থেকে ১০টার দিকে টিএসসিতে অনেক লোক। জেলখানাতে তখন অনেক ঢিলে ঢালা হয়ে গিয়েছিল। অনেক কিছু প্রবেশ করতো। আমরা যখন দেখলাম একটা ছোট বাচ্চা ৮ বছরের হবে। পুলিশের পাশে দাড়িয়ে ঘুষি মারতেছে; আমি তখন বললাম এই সরকার আর থাকতে পারবে না। তখন লোকজন বলে কেন? আমি বললাম বাচ্চা কিভাবে জানে যে পুলিশ খারাপ। সুতরাং মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে সরকার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারপরতো ঘটনা আপনারা জানেন। আজকে আলহামদুলিল্লাহ মুক্ত হয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, আমিতো চুরি ডাকাতি কিংবা অন্যের জমি দখলের কারণে গ্রেফতার হইনি। আমার দোষ হলো আমি ইসলামী আন্দোলন করতাম। আওয়ামী লীগ প্রথম যখন গ্রেফতার করে তখন দেড় বছরের মতো জেল হাজতে ছিলাম। তখন কল্পনা করিনি আমাকে এ সমস্ত মামলা গ্রেফতার করবে। ১২-১৩ টা মামলায় জামিন পেয়ে যখন বের হয়ে আসি তখন আর আটকাতে পারলো না। এরপর আমাকে এই মামলা দিয়েছে। আমার আস্থা ছিল যে এই মামলায় কিছু করতে পারবে না। কিন্তু যখন গণজাগরণ মঞ্চ করলো আইন সংশোধন করলো; তখনতো বুঝলাম সাজানো নাটক। আবারো বলেন, আমার অপরাধ ছিল ইসলামী আন্দোলন করা। আমি যখন ছাত্র জীবনে ইসলামী আন্দোলন যোগদান করি; তখনো বুঝে ছিলাম ইসলামী আন্দোলনের জন্য কষ্ট হবেই ফাঁসি হবেই। কখনোই এই চিন্তা আসতো না যে ইসলামী আন্দোলন করতে গিয়ে ফাসি হয় মৃত্যু হয়। আমার যারা সাবেক কর্মী কিংবা সহকর্মী আছে তারা বলতে পারবে, আমি কোনদিন এসবের ব্যাপারে চিন্তা করতাম না। সবসময় ইসলামী আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। আমি চিন্তা করেছি যেই ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজামী ভাই,মুজাহিদ ভাই, কামরুজ্জামান ভাই, মীর কাসেম আলী ভাই, মোল্লা ভাই তাদের হত্যা করা হয়েছে। আর সিনিয়র নেতারা বিনা চিকিৎসায় মারা গেল তারাও হত্যাকান্ডের শিকার।
তিনি বলেন নিজামী ভাই মুজাহিদ ভাইতো মন্ত্রী ছিলেন। তাদেরতো এক টাকার দুর্নীতিও নাই। শুধু মাত্র ইসলামের জন্য এতো কষ্টজুলুম করা হচ্ছে। তিনি বলেন জেলখানাতে পড়াশোনা করে যতটুকু বুঝেছি দুনিয়াটা ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আপনারা খেয়াল করবেন গ্রামাঞ্চলের চেয়ারম্যান তার দুর্বল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে না। তার সমান যে প্রতিপক্ষ আছে তাকেই ঘায়েল করে। আজকে সমস্ত ইসলামী শক্তি এক হয়েছে। শত্রুরা এই শক্তির সাথে পারবে না। তাই আমি বলি সব সময় ইসলামী আন্দোলন খর¯্রােতা নদীর মতো। খর¯্রােতা নদী প্রবল বেগে চলতেই থাকে। সামনে যে বাধই দেন না সেখানে পানি জমতে জমতে সে বাঁধ ভেঙ্গে সামনে অগ্রসরই হবে। যেটা ৫ ই আগস্ট হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ১৫ বছরে কি জামায়াতকে বেআইনী ঘোষণা করে অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পেরেছে?
তিনি বলেন আমার অভিজ্ঞতা হলো জামায়াত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মিছিলের পর গ্রেফতার করলো। এরপর থেকে আমাদের অফিস বন্ধ। ওই সময় জামায়াতের যে জনশক্তি ছিল,দেখেন এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামী আন্দোল জুলুম নির্যাতনের শিকার হবে এটা সব সময় মনে রাখতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের সাথে বাতিলের আপোস হতে পারে না। আমরা অবশ্যই ক্ষমতায় যেতে চাই। যেনতেনভাবে না। ইসলামকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। ইসলামকে রেখে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা নিজেকে যতটা তৈরি করতে পারবো ইসলামের অগ্রযাত্রা ততটাই এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। তিনি কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন যে দুনিয়ার চিন্তুা করবে তার জন্য দুনিয়াতে, আর যে আখেরাতের চিন্তা করবে তার জন্য আখেরাতে সমৃদ্ধি আসবে।
আল ফালাহ’র মতবিনিময় শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি যান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজমের কবর জিয়ারত করতে। এরপর আজিমপুর গোরস্থানে প্রিয়তমা স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের আমলে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করে দেওয়া আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।