মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মাদকের ওপর বেঁচে আছে, তাদের মূল আয় মাদক থেকে আসে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সীমান্ত দিয়ে দেশে বেশি মাদক আসছে এবং মাদক বহনকারীদের ধরা পড়ার হারও বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেখা গেছে মাদক নিয়ে ধরা পড়ার সংখ্যা অনেক বাড়ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে মাদক আসতেছে বেশি, ধরা পড়তেছে। কিন্তু একেবারে বন্ধ করতে পারিনি। এখন আবার বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন মাদক বের হচ্ছে। এটা দমন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেবে। মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় লাখ লাখ ইয়াবা ধরা পড়ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আরাকান আর্মি বেঁচে আছে মাদক বিক্রির ওপরে। তাদের মূল আয়টাই হলো মাদক। যদিও তারা কৃষিতে কিছুটা কনভার্ট করছে। সেদিকে যদি যায়, তাহলে এই জিনিসটি (মাদক) একটু কমে আসবে। মিয়ানমারে আরাকান আর্মি পুরো সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ মডিউল ঠিক করা হয়েছে। অন্য বাহিনীগুলো তাদের ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছে।
সভায় ইলিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের প্রজনন নাকি এবার কম হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো বাড়বে। এটাকে কীভাবে কী করা যায়, ট্রলার যারা চালায় তারা নতুন ধরনের একটা প্রযুক্তি এনেছে, এমনভাবে মাছ আসে যে পোনা-টোনা কিছুই বাদ পড়ে না। এটা কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আগে কোনো একটা ঘটনা ঘটলে রিপোর্টটা পেতে অনেক সময় লাগতো। এখন প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সঙ্গে সঙ্গেই একটা জিনিসের খবর পাওয়া যায়। এটা কিন্তু ভালো। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যাও সৃষ্টি করে।