কক্সাবাজারের কুতুবদিয়ার মগনামা জোট ঘাটের জরুরি সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ. এইচ. এম. হামিদুর রহমান আযাদ। গতকাল বুধবার এ ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর কাছে চিঠিতে এ দাবি জানান।
এতে তিনি বলেন, দেশের মূল ভূখন্ড থেকে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় যাতায়াতের একমাত্র জেটিঘাট পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মগনামা জেটি ১৯৯০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক স্থাপন করা হয় এবং ২০০৪ সালে এর সম্প্রসারণ করা হয়। প্রায় ২১ বছর ধরে মগনামা জেটি কুতুবদিয়া উপজেলার ৩ লাখ বাসিন্দাসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও পর্যটকদের যাতায়াত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহণের জন্য প্রধান জেটিঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে এই জেটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই জেটির কংক্রিটের অধিকাংশ স্তম্ভ (খুঁটি) এখন কঙ্কালসার অবস্থায় রয়েছে এবং প্ল্যাটফর্ম ও সিঁড়ির অবস্থাও বেহাল। প্ল্যাটফর্ম ও সিঁড়ির বেশ কয়েকটি অংশ ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েকটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, কিছু গর্ত এতটাই প্রশস্ত যে, খেয়াল না করলে মানুষ পানিতে পড়ে ভেসে যেতে পারে। এসব ত্রুটি ও সমস্যার কারণে লোকজনের চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত, নারী, শিশু ও বয়স্ক জনগণের জন্য এই জেটি ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পত্রে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অঞ্চল থেকে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করলেও এই ঘাটের সংস্কারের ব্যাপারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যদিও সরকার প্রতি বছর মগনামা জেটি ঘাটের ইজারা থেকে বিপুল রাজস্ব আদায় করে (যেমন, গত বছর ৭০ লাখ টাকা), তবুও জেটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক রয়ে গেছে।
তিনি জনস্বার্থে মগনামা জেটি ঘাটের জরুরি সংস্কার ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারী যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা এবং আগামী অর্থবছরে নতুন জেটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।