ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনা গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্তকমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান গতকাল সোমবার সকালে ভিসি ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান-এর কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য-সচিব সহকারী প্রক্টর শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর উপস্থিত ছিলেন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ: এদিকে সাম্য হত্যার বিচার এবং দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। ভিসির কার্যালয়ের সামনে ঢাবি ছাত্রদল গতকার সোমবার দুপুরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি জিসি রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে দুপুর ১২টায় তারা সেখানে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা সেখান থেকে চলে যান। তবে এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি সাহস গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্য হত্যার ১৩ দিন হয়ে গেলেও বিচারের বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। উপাচার্য ও প্রক্টর কোনো সন্তোষজনক উত্তর দেননি। আমরা শুধু সাম্য হত্যার বিচার দাবি করছি না, বরং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ব্যর্থ উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও জানাচ্ছি। ঢাবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাম্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন। উপাচার্য ও প্রক্টর একজন জুলাই যোদ্ধার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। দাবি পূরণ না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। এই ঘটনা তদন্তে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে ৭-সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপট করা হয়।