নেদারল্যান্ডসের রাজ্যের দূতাবাসের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) গতকাল রাজধানীর ক্রাউন প্লাজা ঢাকায় “বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নারী ও তরুণদের কণ্ঠ” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম; বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন; এবি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি; এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ; জামায়াতে ইসলামী নারী বিভাগের সাবিকুন্নাহার মুন্নী; জামায়াত প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান; বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সভাপতি তাসলিমা আখতারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত মান্যবর জোরিস ভ্যান বোমেল, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান আনেমারি ভ্যান ডার হেইডেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মহাপরিচালকের উপদেষ্টা লিশেল ফিসার, রাজনৈতিক প্রথম সচিব কোর স্টাউটেন এবং রাজনৈতিক ও জনকূটনীতি উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম। সিজিএসের সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং পারভেয করিম আব্বাসি বৈঠকে ছিলেন।

রাজনীতির বিভিন্ন ধারা থেকে সিনিয়র ও উদীয়মান নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্র করে আয়োজনটি নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, তরুণদের নেতৃত্বে আগ্রহ এবং এসব ক্ষেত্রে বিদ্যমান কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সিজিএস সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি তরুণ জনগোষ্ঠী রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে; কিন্তু অস্পষ্ট দলীয় আদর্শ, নেতৃত্বের সীমিত পথ এবং পৃষ্ঠপোষকতানির্ভর রাজনীতির কারণে তারা সক্রিয় রাজনীতিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তিনি নারীর মনোনয়ন কমে যাওয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আগত কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

গোলটেবিলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী ও তরুণদের অংশগ্রহণ-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে মতামত বিনিময় করেন। আলোচনার শেষ পর্বে দলীয় কাঠামোর ভেতরে বাস্তবসম্মত সংস্কারের উপায় নিয়ে খোলা আলোচনা হয়, যেখানে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।