হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপুজা ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপির পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপুজার শুভেচ্ছা জানাই। শারদীয় দুর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন, সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ , ‘ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার’।
গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে এবারের দুর্গোৎসবের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল। ষষ্ঠী তিথিতে রোববার দেবীর অধিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুর্গাদেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে, যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়’- এ ধরণের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) তাঁর উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।
শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।
পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও হিন্দু সম্প্রদায়কে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান।