জাতিসংঘ‘র শান্তিরক্ষী হয়ে বিশ্ব শান্তিতে অনন্য নজীর স্থাপন করেছে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীসহ পুলিশের ২ লাখ ৫৫৮ সদস্য। গত ৩৮ বছরে এই অনন্য নজীর স্থাপনের পেছনে রয়েছে ১৬৮ জন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জীবন উৎসর্গ করার গর্বিত কাহিনী। এ সময়কালে কমবেশি আহত হয়েছেন আরও ২৭২ জন। শহীদ শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ১৩১ জন, বিমান বাহিনীর ৮ জন, নৌবাহিনীর ৪ জন ও পুলিশের রয়েছেন ২৪ জন। বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহনকৃত ৬৩ টি মিশন থেকে এসেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। যা এ দেশের অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ।

আফ্রিকা মহাদেশসহ যুদ্ধ বিধ্বস্ত এবং অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশগুলোতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে শান্তির দূত হিসেবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর পেশাদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বিশে^র ৪৩ টি দেশ ও স্থানের ৬৩ টি মিশনে শান্তিরক্ষায় অনন্য নজীর স্থাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সামাজিক কর্মকা-ের কারণও আজ প্রশংসিত বিশ্ব দরবারে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বর্তমানে অবস্থান করছে এক অনন্য উচ্চতায়। তাই বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে আজ ২৯ মে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আর্ন্তজাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপন করতে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে থাকছে নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, জাতিসংঘের মহাসচিব, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনা, নৌ ও বিমান ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। দিবসটি উপলক্ষে শান্তিরক্ষী দৌড় ও র‌্যালী উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে: জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:)। চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আহত ২ শান্তিরক্ষীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।

আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশন ( এএফডি) বা সশস্ত্র বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ মিশনে (টঘওওগঙএ) ১৫ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর মাধ্যমে। পরের বছর ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষা মিশেনে যোগ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। এরপর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে যোগ দেয়। শুরু থেকেই সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা শান্তিরক্ষায় পুলিশ কন্টিজেন্টসহ তার সৈন্যদের অবদানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৪৩টি দেশ/ স্থানে ৬৩ টি শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এসব মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ লাখ ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় সেনা প্রেরণকারী দেশগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে ১০ টি দেশ/ স্থানে ৫ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আবেই, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, সাইপ্রাস, ডিআর কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইউএসএ, পশ্চিম সাহারা এবং ইয়েমেনে ৫ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৬৪৫ নারী শান্তিরক্ষী তাদের মিশন সফলভাবে শেষ করেছে। বর্তমানে ৪৪৪ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে মোতায়েন হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করার পাশাাপাশি বাড়তি দায়িত্বও পালন করে। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকাও পালন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশ পুনর্গঠনে দক্ষতা দেখিয়ে যেমন অর্জন করেছে ভালোবাসা, তেমনি অর্জন করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। এক সময় শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করা বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের রোলমডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডির) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) শান্তিরক্ষায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ যাবৎ ১৪৪ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। এসব সদস্যদের শহীদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। জীবন উৎসর্গ করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ১৩১ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, নৌবাহিনীর ৪ জন এবং বিমান বাহিনীর ৯ জন। আর পুলিশের রয়েছেন ২৪ জন। এ সময় শান্তিরক্ষার অভিযানে আহত হয়েছেন ২৭২ জন। আহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২৪১ জন, নৌবাহিনীর ৯ জন এবং বিমান বাহিনীর ৪ জন রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১০ টি মিশনে ৪ হাজার ৮৮০ জন নিয়োজিত রয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। এর মধ্যে ডিআর কঙ্গোতে ১৫৪৩ জন, কার এ ১৩৩০ জন, সাউথ সুদানে ১৪৩৮ জন, অ্যাবেই এ ৫২৯ জন রয়েছেন। এছাড়া পশ্চিম সাহারা ইয়েমেন, লেবানন, লিবিয়া, সাইপ্রাস এবং ইউএন সদর দপ্তরের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছে। বিশ্বের প্রায় সকল সমস্যাগ্রস্ত অঞ্চলে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পদচিহ্ন এখন স্পষ্ট। ২০১১, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় সেনা প্রেরণকারী দেশ ছিল।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে: কর্নেল সামি উদ -দৌলা চৌধুরী গতকাল বুধবার দৈনিক সংগ্রামকে জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিম-লেও শান্তিরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনকারী দেশ হিসেবে ১১৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একাধিকবার শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী হিসেবে শীর্ষ অবস্থানে ছিলো।

শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ : পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। শুরু থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজার ৮১৫ জন শান্তিরক্ষী ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে পেশাদারত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ২৪ জন শান্তিরক্ষী। বর্তমানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১২৮ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারীসহ ১৯৯ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যগণ বিগত ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৭ জন নারী পুলিশ শান্তিরক্ষী বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর দৈনিক সংগ্রামকে জানান, ১৯৮৯ সালের পূর্বে বৈশ্বিক পরিম-লে বাংলাদেশ পুলিশের কাজ করার কোন ধরনের সুযোগ ঘটেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দায়িত্ব পালনের ফলে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দেশের পুলিশিং সম্পর্কে জানার সুযোগ ঘটেছে, অনেক দেশের পুলিশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। এ ধরনের বহুমাত্রিকতায় পুলিশ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তনের এক ধরনের তাড়না অনুভব করেন, যার ফলে তাদের মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। তারা ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা ও পুলিশিং থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় জনমুখী পুলিশিংয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন পুলিশ সদস্যদেরকে মানুষের আরো কাছে যেতে, তাদের প্রতি আরো দায়বদ্ধ হতে শিখিয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোদীপ্ত ও অনন্য সাধারণ ভূমিকা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট, মেডিকেল ইউনিট, মিলিটারি অবজারভার ইত্যাদি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবদান আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ২০০০-২০০১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৭ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মিশন থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। জাতিসংঘ প্রতিটি শান্তিরক্ষী সদস্যের জন্য গড়ে মাসিক প্রায় ১ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের একটি অংশ সদস্যদের প্রদান করে, যা সদস্যের পদমর্যাদা ও জাতীয় বেতন কাঠামোর উপর নির্ভর করে। বাকি অর্থ সরকার তার কোষাগারে জমা রাখে। পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে, জাতিসংঘ প্রদত্ত মোট অর্থের প্রায় ১০ শতাংশ সরকার পায়। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নানা কর্মসূচী : বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেঃ জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ) প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল বেলা ”শান্তিরক্ষী দৌড়/র‌্যালি-২০২৫’’ উদ্বোধন করবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। ২ জন আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি থাকবেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হবে। এছাড়াও, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।