ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত সব নিয়ম এক কাঠামোয় এনে নতুন মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এ সার্কুলারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নীতিমালা সহজ ও সুসংহত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এতদিন বিভিন্ন গাইডলাইন ও সার্কুলারে ছড়িয়ে থাকা নির্দেশনাগুলো প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ নতুন সার্কুলারে একত্রিত করা হয়েছে। এতে ঋণ, ওভারড্রাফট এবং গ্যারান্টি সম্পর্কিত বিধানকে একটি অভিন্ন কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে, যা জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ঋণ, বিদেশে প্রদত্ত গ্যারান্টি বা জামানতের বিপরীতে ঋণ, দেশীয় ও বিদেশি উভয়পক্ষের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যারান্টি, রিপেমেন্ট গ্যারান্টি এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ প্রদানের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টি, স্ট্যান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট (এসবিএলসি) ও অন্যান্য পেমেন্ট প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউআরডিজি, ইউসিপি, আইএসপি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে, তবে তা অবশ্যই দেশের আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
নতুন সার্কুলারে বিশেষায়িত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক ও স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের সুযোগ, ইউস্যান্স বিল ডিসকাউন্টিং, চলতি মূলধন সুবিধা এবং মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের বিধানও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধের গ্যারান্টি সম্পর্কিত নির্দেশনাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, সব বিধান এক ছাতার নিচে আনার ফলে ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত বৈদেশিক লেনদেন আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে। বিশেষ করে বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি হবে একটি সহায়ক উদ্যোগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি সরলীকরণ এবং বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আর্থিক লেনদেনকে আধুনিকায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।