আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সামনে এমন দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, একের পর এক তথ্য পাচারে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। এ তথ্য পাচারের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ২২ জন আসামী পালিয়ে যান। গোপন তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে, তা তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটিও।

ট্রাইব্যুনালের তথ্য ফাঁস ও গ্রেপ্তারের আগে আসামীদের পালানোর এ কথা স্বীকার করে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের কেউ যদি তথ্য ফাঁসে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় জুলাই গণহত্যার দ্বিতীয় মামলা হিসেবে চানখারপুলের হত্যা মামলায় তদন্ত শেষ হয়েছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ৭ জনকে গুলী করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। মামলায় আসামীর সংখ্যা আট জন। এরইমধ্যে খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।

এদিকে শেখ হাসিনার সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলেও জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।