টাকার জন্য না। জামায়াতকে ভালবাসি, তাই সমাবেশে আসা লোকজনের হাতে একটা পতাকা থাকুক কিংবা মাথায় বেধে রাখুক পতাকা এমন ভালোবাসা থেকেই সকাল থেকেই পতাকা নিয়ে মাঠে আছি এমন আবেগঘন কথা জানালেন পতাকা বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসাইন।

গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে কথা হলে তিনি পতাকা বিক্রি নিয়ে তার অনুভুতি জানান।

মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমি কিডনি রোগী। এছাড়া নানা রোগে আক্রান্ত। রায়েরবাগ একটি ভাড়া বাসায় থাকি। অনেক বছর হলো জামায়াতের সাথে আছি। এ দলকে ভালোবাসি। জামায়াত করার অপরাধে আমাকে বিগত দিনে অনেক নির্যাতন সইতে হয়েছে। কিন্ত আমি দমিয়ে যাইনি।

তিনি বলেন, অনেক দিন পর জামায়াত বিশাল সমাবেশ করতেছে। এটা শুনে আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলামনা। সিদ্ধান্ত নিলাম সমাবেশ আগন্তুক নেতা কর্মীদের মধ্যে দলীয় পতাকা বিক্রি করবো। যে কেনার কিনবে। না হলে বিনা মূল্যেই দিয়ে দিবো। টাকা লাগবে না। একজন কর্মী সমাবেশে এসে মাথায় দলীয় পতাকা লাগাবে এতেই খুশি। লোকজন দেখে বলবে এটা জামায়াতে লোক এতেই আমার আনন্দ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জামায়াতের জাতীয় সমাবেশকে ঘিরে গতকাল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ করে সমাবেশের আশে পাশে এবং ঢাকায় প্রবেশের পথে জামায়াতের দাড়িপাল্লা খচিত পতাকা হাতে দলে দলে নেতাকর্মীরা সমাবেশের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি কর্মীর মাথায় ছিলো দলীয় পতাকা । জামায়াতে প্রতি আনুগত্যের প্রতীক ও ভালোবাসার নির্দশন হিসেবে মাথায় দাড়িপাল্লা খচিত ব্যান্ড পরে কমীরা।

মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় পতাকা বিক্রেতা জামাল উদ্দিন জানান, সকাল থেকে অনেক বেচা কেনা। সব জামায়াতের নেতাকর্মী কিনছেন। বড় পতাকা ১শটা টাকা এবাং মাথার ব্যান্ড ১০ টাকা করে বিক্রি করেছি। বিশেষ করে তরুণরা বেশি করে কিনেছেন।