গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে তরুণদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেয়া তাদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী, পুলিশ এবং গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। সহিংস আক্রমণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করছি। পাশাপাশি হুমকি সত্ত্বেও সমাবেশ চালিয়ে যাওয়াদের সাহসেরও প্রশংসা করছি। শেষে বলা হয়, এই সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশে সহিংসতার কোনও স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই জয়ী হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জের পৌরপার্ক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরইমধ্যে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।