অ্যাপোক্যালিপটিক ক্ষেপণাস্ত্র নামে পরিচিত ইরানের নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এতটাই ভীত করে তুলেছে যে, সেগুলোই এখন পশ্চিমা সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। এই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমের মতো উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। মার্কিন ম্যাগাজিন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট একটি বিশ্লেষণে স্বীকার করেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলায় শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, যখন ইরান তার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আপগ্রেড করছে।
সংবাদমাধ্যমটি স্বীকার করে বলেছে, ফাতাহ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ভেদ করতে এবং সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট স্বীকার করেছে, ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ইরানের হাইপারসনিক ক্ষমতা সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ম্যাগাজিনটি জোর দিয়ে বলেছে, ‘এই অস্ত্রগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাস্তব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই’। কারণ আয়রন ডোম হাইপারসনিক নয়, বরং এটি ধীর, আরও আদিম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরাইল গত ১৩ জুন ইরান আক্রমণ করেছিল দেশটিকে ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে; কিন্তু তার প্রত্যাশার বিপরীতে যুদ্ধে তারা কেবল তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাদের স্থাপনাগুলো বারবার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে এবং এর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সুবিধা ধ্বংস হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, ইরান পূর্ণ মাত্রার আক্রমণে ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। ইন্টারনেট