ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে।এদিকে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া দেখান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।ইউরোপীয় কোম্পানি থেকে এয়ারবাস না কিনলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটৎস। তবে, বাণিজ্যিক একটি সমঝোতার কারণে সার্বিক সম্পর্ক নির্ভরশীল নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) পক্ষ থেকে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
ডিকাব টক-এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনে অনেক ভুয়া নথি জমা পড়ছে। সে কারণে প্রকৃত শিক্ষার্থীদেরও ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশ এয়ারবাস কেনার চুক্তি করেছে। এখন যদি এয়ারবাস না কেনা হয়, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি না এই বাণিজ্যিক একটি সমঝোতার ওপরে আমাদের সার্বিক সম্পর্ক নির্ভরশীল হবে। অবশ্যই রাষ্ট্রদূত চেষ্টা করবেন, যেন তার দেশের যে ব্র্যান্ড আছে সেটা বিক্রি হয়। এটা স্বাভাবিক, এটা তার দায়িত্ব। আমি মনে করি, তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এটা আমি একেবারে মনে করি না যে, একটা বাণিজ্যিক সমঝোতা, যেটা বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি এবং আমাদের যে ফ্রিকড সাইজ তাতে করে আমাদের জন্য কোনটা সুবিধা হবে; সেটা আমাদের বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না যে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের বাইরে গিয়ে একজন রাষ্ট্রদূত বা অন্যরা কী বলবেন সেটার ভিত্তিতে এটা কেনা হবে।
এয়ারবাস কেনার ক্ষেত্রে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনাÍ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমি অন্তত অনুভব করছি না। বাকিটুকু যিনি কিনবেন তাকে জিজ্ঞেস করেন।