জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বাড্ডা এলাকায় এক দোকানকর্মী নিহত হওয়ার প্রায় ১০ মাস পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদীর জবাববন্দি গ্রহণের পর ঢাকার মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম এই নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন মামলা দায়েরের এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শাজাহান খান, ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সাবেক এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, খসরু চৌধুরী ও সালমা চৌধুরী, ডিএমপি ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।
সোমবার মামলার আবেদন করেন নিহত দোকানকর্মী পারভেজ বেপারীর বাবা মো. সবুজ। ঢাকার মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন রাখেন। এদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বাড্ডা থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকালে ৫০০/৭০০ জন আন্দোলনকারী বাড্ডা থানাধীন সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেন। সে সময় তাদের ওপর হামলা ও গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হন উত্তর বাড্ডার এ+এন ফার্নিচার দোকানের কর্মী পারভেজ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
এছাড়া ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী-এমপি, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ-আল মামুনসহ কয়েকজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া চলছে।