বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের নেতার বার্তা স্পষ্ট- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি ভোটের তারিখ দিতে না পারলে আমরা একটু অপেক্ষা করবো। তারপর আমরাই ভোটের তারিখ দিয়ে দেবো। কারণ ধৈর্য্য ও সময়ের শেষ আছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপেদেষ্টার সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার আগে বাংলাদেশ শ্লোগান দিলেও অনেকের কাছে সবার আগে গ্রামীণ ব্যাংক। অনেকের কাছে ট্যাক্স দেবোনা ৬ বছর। অনেকের টার্গেট জাপানে মানুষ পাঠানো। তিনি বলেন, আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি, কিন্ত এখনো বিরোধিতা করি নাই। তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা স্থবির হয়ে পড়েছিল। অনেকে সেদিন বাইরে বের হতে পারেনি। যারা ঢাকায় ছিলেন তারা দেখেছেন। অনেকে মিডিয়ায় দেখেছেন, যদিও মিডিয়ায় সবটা আসে না। আর একজন দেখেছেন জাপানে বসে। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠেই আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন চূড়ান্ত ডাক আসবে সেদিন আপনাদের আর কিছু করার থাকবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি নেতাদের গুষ্ঠী উদ্ধার করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ পুনর্গঠনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এ দেশের মানুষের মনিকোঠায় তিনি ঠাঁই নিয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও বিএনপির রাজনীতির পার্থক্য তুলে ধরেন তিনি। বলেন, বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার সৃষ্টি। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আমরা দেখেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আগামী দিনে প্রতিষ্ঠা করবো। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের দায়িত্ব বিএনপির।

‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ আলোচক ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগার লবী। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী ও মাসুদ পারভেজ বাবু।