৫ পাঁচ কারণে বাংলাদেশে জামায়াতের ক্ষমতায় আসা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশে কাজ করে যাওয়া এক মার্কিন কূটনীতিক। ভারতীয় পত্রিকা ‘এই বাংলায়’ প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। যদিও কুটনীতিকের নাম উল্লেখ করেনি পত্রিকাটি। সংবাদের শিরোনাম পূবের হাওয়া। ধারাবাকিক পর্ব-৩ নামের ব্লগটি তৈরি করেছেন অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাংলাদেশে কাজ করে যাওয়া মার্কিন কনসুলেটের এক কুটনীতিকের কাছে জানতে চান জামায়াতে ইসলামী কেন এতো জনপ্রিয় তাদের কাছে। জবাবে তিনি অনেকগুলো কারণ দেখিয়েছিলেন। এক, তাদের নেতারা উচ্চশিক্ষিত। বাণিজ্যিক ভাবে অত্যন্ত সফল। দুই, তাদের আচরণ (ম্যানারস) খুব ভদ্র-সভ্য। কথা বলা যায় তাঁদের সঙ্গে। তিন, তারা ফেলে আসা ইতিহাসের কোনও একটি সময়ে ভিন্ন পদক্ষেপ (পড়–ন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতা)-এর কারণে বাংলাদেশের শাসক দলের হাতে নির্যাতিত ও মানবাধিকার বঞ্চিত। চার, জামায়াত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে এবং পাঁচ, ইসলামি শক্তি হলেও জামায়াতিরা তালিবানের মতো পিছিয়ে পড়া নয়, বরং প্রগতিশীলই বলা যায়।
তার ভাষ্য আমেরিকা চায় বাংলাদেশে শাসন ক্ষমতায় আসুক জামায়াত। বহু দশক ধরেই তাদের এই চাওয়া। এ নিয়ে তাদের লুকোছাপা বিশেষ নেই। সেই মার্কিন কূটনীতিক বলেছিলেন, ‘যে দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান, সেখানে জামায়াত যদি সরকারে আসে ক্ষতি কী ? তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। তাদেরও উচিত এক বার সুযোগ পাওয়া। কী আছে, ফেল করলে মানুষ সরিয়ে দেবেন!’
গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পরে অরাজকতায় মোড়া বাংলাদেশে সরকার গড়তে পুরো দমে মাঠে নেমেছে জামায়াত। মাথায় আঙ্কল স্যামের হাত অবশ্যই রয়েছে। তবে একা জিতে সরকার গড়ার সামর্থ্য যে দলের নেই, বিলক্ষণ বোঝেন জামায়াত নেতৃত্ব। অন্য ইসলামি দলগুলির সঙ্গে তাই বোঝাপড়া করে একটি ইসলামি জোট তৈরি করতে নেমেছে জামায়াত। তবে আমেরিকা জামায়াতকে গণতন্ত্রপ্রিয় বলে মনে করলেও, বা জামায়াত আমেরিকার মনে সেই ধারণা গড়ে দিতে সফল হলেও, আদতে বাংলাদেশ থেকে ‘পশ্চিমি গণতন্ত্র’ উচ্ছেদ করে শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা কায়েমই লক্ষ্য জামায়াতের। জামায়াতে ইসলামির ওয়েবসাইটটিতে কর্মসূচি হিসাবে স্পষ্ট লেখা রয়েছে এটি।