দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সিঙ্গাপুর থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানি করতে মোট ব্যয় হবে ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৫২ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নতুন ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২৬-২৭ জুন, ২০২৫ সময়ে ২৬তম) এলএনজি আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.১৮ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৫২ টাকা।

একই বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল কিনবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি টাকা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রাণ তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৬১ টাকা।

সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো- তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রধান অয়েল মিলস লিমিটেড, গ্রিণ অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ ও মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড।

এরমধ্যে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ লাখ লিটার ও তামিম অ্যাগ্রোর কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে। এছাড়া প্রধান অয়েল মিলস লিমিটেড ও গ্রিণ অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে কেনা হবে ২০ লাখ লিটার করে রাইস ব্রান তেল।

ক্রয় সম্পন্ন করার পর টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এসব রাইস ব্রাণ তেল বিক্রি করা হবে।এর আগে ৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া লিমিটেড থেকে ১ হাজার ১০৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৬ টাকায় দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।