পবিত্র জুমাতুল বিদা গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিগণ জায়নামায নিয়ে মাহে রমযানের শেষ জুমাতুল বিদায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রবেশ করতে থাকেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে কড়া পুলিশি প্রহরা বসানো হয়।

সকাল ১১টার পর মুসল্লিদের চাপ বাড়তে থাকলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভেতর ভরে যায়। পরে পূর্ব সাহান এবং মসজিদের সাত তলা পর্যন্ত মুসল্লিদের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মাহাত্ম্য ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদে ইমাম-খতিবগণ দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করেন। এ সময়ে মহান আল্লাহর ক্ষমা ও নৈকট্য লাভে মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। আজকের দিনের মাধ্যমে (জুমাতুল বিদা) কার্যত বিদায় জানানো হয়েছে পবিত্র মাহে রমযানকে। রাজধানীর মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজমেও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরে রাস্তার ওপর মুসল্লিদের জুমার নামায আদায় করতে হয়েছে।

জুমাতুল বিদা কেন্দ্র করে মসজিদগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে আজানের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় অধিকাংশ মসজিদ। এমনকি মসজিদে জায়গা না পেয়ে বাইরের সড়ক পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ওপর কাগজ, জায়নামায, মাদুর বিছিয়ে জুমার নামায আদায় করেন মুসল্লিগণ। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে নামাযের পর খতিব মুফতি আব্দুল মালেক দেশ, জাতির শান্তি, কল্যাণ, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহর উন্নতি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন। এ সময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি। উল্লেখ্য, রমযান মাসের শেষ জুমার দিন মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এই বিশেষ দিন পালিত হয়েছে।