বিগত ৮ এপ্রিল কমিশনের গেটের ভেতরে ও বাইরে এ ধরনের সমাবেশ সংঘটন ও বেআইনী অনধিকার প্রবেশের ঘটনাসহ গেটে দায়িত্বরত সরকারী কর্মচারীদের সাথে অবৈধ বলপ্রয়াগ ও দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদানের মতো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। কেপিআই হিসাবে সরকারী কমিশনের স্পর্শকাতরতা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। চাকুরী প্রার্থিগণের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সহ অতি গোপনীয় দলিল-দস্তাবেজ কমিশন ভবনে সংরক্ষিত থাকে।
গতকাল বুধবার সরকারি কর্ম কমিশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ভবিষ্যতে বিপিএসসি ভবনের গেটের ভিতরে ও বাইরে কোনরূপ বেআইনী সমাবেশ ও অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটনের মাধ্যমে বিপিএসসির নিরাপত্তা ও স্পর্শকাতরতা বিঘিœত করা হলে বা হুমকীর সম্মুখীন করা হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ফৌজদারী ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন হতে পারে।
পিএসসি বলছে, দেশের শিক্ষিত যুবকদের স্বপ্ন পূরণের প্রতিষ্ঠান হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন প্রার্থি-বান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। বর্তমান কমিশন শুরু থেকেই চাকুরি-প্রার্থিদের যুক্তি-সঙ্গত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার প্রদান করে আসছে। এ কারণেই কমিশন ইতোমধ্যে সিলেট ও খুলনা বিভাগে কর্মশালা অনুষ্ঠান করেছে এবং চাকুরি প্রার্থিসহ অংশীজনদের সাথে মত বিনিময় করেছে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য বিভাগীয় সদরেও অনুরূপ কর্মশালা অনুষ্ঠান করবে। কমিশনের কাজ কর্মে গতি সঞ্চার ও কমিশনের ইতিবাচক ট্রান্সফর্মেশনের জন্য অনুরূপ পরামর্শ ও কর্মশালা নিয়মিত বিরতিতে চলতে থাকবে। উল্লেখ্য, কোন চাকুরী প্রার্থির যুক্তিসঙ্গত সমস্যা জানা ও সমাধানের জন্য কমিশন সব সময়ই প্রস্তুত থাকে। কিন্তু, কমিশন ভবনের সামনে যে কোন বেআইনী সমাবেশ কমিশনের জন্য খুবই বিব্রতকর ও একটি কেপিআই হিসাবে এ ধরনের সমাবেশ কমিশনের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণও বটে। চাকুরি-প্রার্থিদের সমস্যা জানানোর জন্য কমিশনের সামনে বিশৃংখল অবস্থান চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত আপত্তিকর ও বেমানান।