অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান এবং তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে চারটি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। গতকাল বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলা অনুমোদনের তথ্য দিয়েছেন।

অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তার ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্ত্রী সবিতা আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। তার আটটি ব্যাংক হিসাবে ২১৩ কোটি ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি।

অপরদিকে বাজুস সাবেক সভাপতি, ডায়মন্ড অ্যান্ড ডাইভার্স ও শারমিন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন অভিযোগ উঠেছে। তার ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা বলছে দুদক। এনামুল ২০২৩ সালে বাজুস থেকে বহিষ্কৃত হন।

তার স্ত্রী শারমিন খানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সাতটি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।