১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে গতকাল সোমবার দুপুরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে মাঠ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এডভোকেট মোয়াযযম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম সহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতৃবৃন্দ।
মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এসময় তিনি জানান, আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতির জন্য নেতৃবৃন্দ মাঠ পরিদর্শনে এসেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশের জন্য ৩১ ফুট প্রস্থ ও ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বিশাল মঞ্চ থাকবে। প্যান্ডেলের ভিতরে এলইডি পজেক্টর থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভির ব্যবস্থা থাকবে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত ওজু ও টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও গাড়ি পার্কিংয়ের বিশেষ সুবিথা থাকবে। ঢাকা চল স্লোগানে দেশবাসীকে মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উত্থাপিত ৭দফা দাবি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি। তাই তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে মহাসমাবেশ সফল করতে দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এসময় তিনি সমাবেশ সফল করতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ৫ আগস্ট পরবর্তী কখনো নির্বাচন পেছানো কিংবা আগানোর কথা বলেনি। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, সরকার যখনই নির্বাচন দিবে জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুত রয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, যেনতেন কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। এই পরিস্থিতি কখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে না। যারা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তারা ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স লুট সহ যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য জামায়াতে ইসলামী বলেছে, আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নতি করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সব দল ও প্রত্যেকের প্রার্থীর জন্য সমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ভোটার ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে।