বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠায় আলেমদের অগ্রণীভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামী জাগরণ ও পরিবর্তনে আলেমগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আলেমগণ হচ্ছেন নবীদের উত্তরাধিকার। বিগত সরকারের দুঃশাসনামলে আলেমগণ জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আলেমদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার কারণে দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশ মুক্তি লাভ করলেও আওয়ামী লীগের ইসলাম বিরোধী তৎপরতা থেকে জাতি এখনো মুক্তিলাভ করেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল শনিবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উলামায়ে কেরাম ও ইমাম-খতিবদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তাগাছা উপজেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা বদরুল আলম, উপজেলা আমীর অধ্যাপক শামসুল হক, মাওলানা মাসুদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন, মুফতি তাজউদ্দীন, অধ্যক্ষ মাওলানা মতিউর রহমান, আব্দুল্লাহ মেহাম্মদ মোজাহীদ, মাওলানা আফতাবুর রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোস্তফা রায়হান। ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আকরান হোসেন।
মতিউর রহমান আকন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। আলেমগণ ঐক্যবদ্ধ হলে দেশে সহজেই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বিগত ৫৪ বছরেও এদেশে ইসলামী দল ও আলেমদের মধ্যে একক ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম গড়ে উঠেনি। অতীতকে ভুলে গিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই দেশে কুরআনের রাজ কায়েম হবে। কুরআন হচ্ছে মানবজাতির মুক্তির একমাত্র বিধান। কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।