মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন, নাকি জাতীয় নির্বাচনের পরে সংস্কার? যদি সংস্কার করে নির্বাচন হয়, তাহলে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য সব সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার পরে নির্বাচন, নাকি আংশিক সংস্কারের পরে? এছাড়া আরও একটি দাবি ছিল নির্বাচনের আগে। সেটি হচ্ছে নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। কিন্তু এখনো বিচারের সেরকম কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা জুনের আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিকাংশ দলই বলছে, দুই একটি দলের কথামত নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হলে সেটি প্রতিহত করা হবে। অধিকাংশ দলই নির্বাচনের পক্ষে। তার আগে উল্লেখযোগ্য সংস্কার, জুলাই সনদ ঘোষণা ও শেখ হাসিনার বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হবার দাবি জানিয়ে আসছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন আয়োজন যে এতো সহজ হবে না সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যেমনটি ভাবা হয়েছিল, তেমন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচনের মাঝখানে চলে এসেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা এবং সংবিধান সংস্কার কিংবা প্রণয়ন যা-ই বলা হোক না কেন, সে জন্য প্রয়োজন গণপরিষদ নির্বাচন। কাজেই বিষয়টি আগের তুলনায় একটু কঠিন হয়েছে। তবে এখনো তা একেবারে জটিল কোনো সমীকরণে পরিণত হয়নি। যেহেতু বিষয়টি নির্ভেজাল রাজনীতিসংশ্লিষ্ট, তাই তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না। কারণ, রাজনীতির দাবার ঘুঁটি সব সময় জটিল চালেই চলতে অভ্যস্ত।
সূত্রমতে, নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েনের বিষয়টির মধ্যে একটু জটিলতা দেখতে পাওয়া যায়, যখন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতৈক্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে গণঅভ্যুত্থানের চার্টার (সনদ)। সেই চার্টারের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচন হবে। কথাটির সঙ্গে প্রথমত নির্বাচনের সময়সূচির কোনো প্রত্যক্ষ যোগ নেই। তা ছাড়া, উক্তিটির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ইতিপূর্বেকার নির্বাচনসংক্রান্ত বক্তব্যেরও সাযুজ্য রয়েছে। তারপরও উক্তিটি নতুন। মতৈক্যের ভিত্তিতে চার্টার তৈরি করা এবং সেই চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান কিন্তু একটি নতুন বন্দোবস্তের বিষয় হবে। নির্বাচন কমিশনের বর্তমান ম্যান্ডেট এবং প্রস্তুতিতে সেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সব সংস্কার শেষ করতে আগামী বছরের (২০২৬ সাল) মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে। সুতরাং সব সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে নির্বাচন আয়োজন করতে আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত সময় লাগতেই পারে। অবশ্য এর কোনোটিই একেবারে সুনির্দিষ্ট সময় নয়। কিন্তু কথাগুলো নিয়মিত বিরতিতে ঘুরেফিরে আসছে।
প্রধান উপদেষ্টা আল জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সংস্কারের জন্য তিনি কোনো তারিখ দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই মন্তব্য থেকে এ কথা ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই যে চার বছরই লাগবে। কিন্তু কত দিন লাগবে তা সত্যিই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট সময় চায়, তারা তো তা চাইতেই থাকবে। কাজেই টানাপোড়েন অবশ্যম্ভাবী এবং অনিবার্য।
সূত্র মতে, নির্বাচনের দিন-তারিখ নিয়ে নিয়মিত কথা বলছে শুধু বিএনপি। অন্যদের তত তাড়া নেই। তবে শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দল কিন্তু এককাট্টা হয়েই ছাত্রদের সঙ্গে মাঠে ছিল। সংস্কার এবং নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে তারা সেভাবে থাকতে পারছে না। এটাও রাজনীতির কঠোর বাস্তবতা। বিএনপি বলছে, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিএনপির আহ্বানে রাজনৈতিক কোনো দলেরই খুব একটা সাড়া নেই। এমনকি বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতির মাঠে থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না পর্যন্ত বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সরকারকে কোনো চাপ তারা দিচ্ছেন না। তার মতে, প্রয়োজনীয় সংস্কার করেও নির্বাচন করা সম্ভব এবং সেটা দ্রুতই সম্ভব। এ জন্য তারা কোনো চাপ দিচ্ছেন না। একটা গ্রহণযোগ্য, কোয়ালিটি নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলোই তারা বলে যাবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ভারতও চাপ দিচ্ছে যে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দরকার। সংস্কার ছাড়াই। বিএনপিও নির্বাচন চাইছে। অর্থাৎ ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইছে। তবে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য নতুন একটি গণপরিষদ ও নতুন সংবিধান রচনার মাধ্যমেই এটা নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, সেটাই অন্তর্বর্তী সরকারকে করতে হবে। এটা না করে নির্বাচন দেওয়া হলে নির্বাচিত সরকার আদৌ কিছু করবে কি না, সেই অনিশ্চয়তা আছে।
সূত্র মতে, নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি অগ্রাধিকারের বিষয় হলো জুলাই গণহত্যার বিচার। অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিক থেকে বিচারিক আদালতে এই বিচারকাজ শেষ করার ওপরও নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নির্ভর করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির বিষয়টি তো রয়েছেই। সুতরাং নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং অন্তর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য অভিন্ন নয়। কাজেই টানাপোড়েন অব্যাহত থাকবে বলেই ধরে নেওয়া যায়।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত বৈঠক থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এই সময়ে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতির দুটো শর্ত রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। যদিও এ ধরনের সমঝোতা নিয়ে আপত্তি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিসহ কয়েকটি দল। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন কী ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে, এর মধ্যেই রাজনীতিতে কি অস্বস্তি, অনিশ্চয়তা কেটে যাবে? রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তির কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অনেক দলের ভিন্নমত থাকলেও ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে দেশ নির্বাচনী সড়কে উঠেছে, এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও সেই ধারণা তৈরি করতে হবে। যদিও নির্বাচন নিয়ে জনমনে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ওপর। তিনি বলেন, সাংবিধানিক কাউন্সিলের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, সংসদীয় আসনের কাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে। এসব বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হবে জাতীয় সনদ। আর সেই সনদের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে নির্বাচনের সময়সূচি। তিনি বলেন, যত দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত পোষণ করবে এবং আমরা একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে পারব, তত দ্রুতই নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে।
জানা যাচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। সূত্র জানায়, নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার কতটা প্রস্তুত সেটা জানানো হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে রাজনীতির ময়দান এখন সরগরম। জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচন কবে হতে পারে কিংবা কবে হতে যাচ্ছে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের তারিখ নিয়ে মোটা দাগে কতগুলো বিষয় বিবেচনার আছে। এবারের অন্তর্বর্তী সরকার জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় সংস্কার কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিয়েই নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এটিই সরকারের দর্শন বলে প্রতিভাত। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মত, মানুষ ভোট দিতে যাবে এবং পছন্দমতো ভোট দিয়ে নির্দ্বিধায় বাড়ি ফিরতে পারবে, এমন সংস্কার অন্তে নির্বাচন দেওয়া উচিৎ।
বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে বলে জানিয়েছে এনসিপি। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে- বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে। এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান রোডম্যাপ সরকারকে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষে নয়, তবে তার আগে বিচার এবং সংস্কারকে যেন অবশ্যই দৃশ্যমান করা হয়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি। বর্তমান সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব নয় উল্লেখ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আখতার বলেন, আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা আমরা বলেছি।
নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দরকার উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকার করতে পারবে না। তবে উল্লেখযোগ্য সংস্কার করতেই হবে। তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি পরিবেশ না আসা পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
এদিকে নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে নির্বাচনের পিছু ছাড়ছে না ‘সংশয়, সন্দেহ, অনিশ্চয়তা’। সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন প্রলম্বিত করার কোনো চিন্তা সরকারের ভেতরে নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। এরই মধ্যে এসেছে নির্বাচন পদ্ধতির বিতর্ক। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর নির্বাচনি ব্যবস্থা নাকি সরাসরি ভোট, এ নিয়ে দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থান এখন দৃশ্যমান। আর এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। দলগুলোর মতপার্থক্য বা পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে রাজনীতিতে অস্থিরতা এবং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
সূত্র মতে, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রস্তুতির মধ্যে অনেক বিষয় আছে। যেমন নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাজানো, নির্বাচনের সাথে সরাসরি জড়িতদের বাছাই, নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্ট নিয়োগ প্রদান, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করা ইত্যাদি। দেশে ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে। এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে সমীক্ষায় দেখা গেছে। এসব কেন্দ্রে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়, সেই আয়োজন করা। জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। তাই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।