জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল পুনরায় শুনানি হবে আজ বৃহস্পতিবার। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজহারের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী শিশির মনির। এর আগে গত মঙ্গলবার তিনি আপিলের নব্বই শতাংশ শুনানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। আজ বাকি শুনানি হবে। এর আগে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ আজহারের দাখিল করা রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে তাকে পূর্ণাঙ্গ আপিলের সুযোগ দেন (লিভ টু আপিল মঞ্জুর)। সে সময় আগামী ২২ এপ্রিল শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীপক্ষকে তাদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। এরপরের দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে তাদের জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদ- বহাল রাখে।

পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই রিভিউ আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রিভিউ মঞ্জুর হওয়ার পর এখন পুনরায় পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

নিবন্ধন বিষয়ক শুনানি ১৩ মে : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বিষয়ক আপিলের শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ঠিক করেন। আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৩ মে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন সুপ্রিম কোর্ট।

বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে করা আপিলের দ্রুত শুনানির গুরুত্ব তুলে ধরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন না থাকায় দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ কারণে জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ক মামলাটির শুনানি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।

চলতি বছরের ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর আর শুনানি হয়নি। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে থাকবেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ নবেম্বর আপিল বিভাগ মামলাটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেন।