পাল্টে গেছে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো/মনোগ্রাম। নৌকা দিয়ে তৈরী বিদ্যমান লোগো/মনোগ্রাম পরিবর্তন করে নতুন লোগো/মনোগ্রাম ব্যবহারের জন্য পুলিশের সকল ইউনিটকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (লজিস্টিকস) নাছিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পত্রে পরিবর্তিত লোগো/মনোগ্রাম ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে লোগো/মনোগ্রামটি। তবে, পরিবর্তিত লোগো/মনোগ্রাম নিয়ে কোন প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়নি বলে ওই পত্রে উল্লেখ করে বলা হয়, যা ইতোমধ্যে যথাযথ কতৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

পুলিশের মনোগ্রাম পরিবর্তন করে ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে ২০০৯ সালে এই মনোগ্রামে পরিবর্তন করা হয়, যেটি বর্তমানে আছে সেটিতে রয়েছে, ‘পালবাঁধা নৌকার দুই পাশে গম ও ধানের শীষের মালা। পালের ওপরে একটি শাপলা। আর নৌকার নিচে বাংলায় পুলিশ লেখা। ’

পরিবর্তিত লোগোতে রয়েছে, ‘শাপলার দুই পাশে গম ও ধানের শীষের মালা। ওপরে থাকবে তিনটি পাটপাতা। আর ধান ও গমের শীষের নিচে বাংলায় পুলিশ লেখা থাকবে। ’

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, নতুন লোগো অনুমোদন পাওয়া গেলেও এখনও পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি। রঙ নিয়ে এখনো কাজ চলছে। রং চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর সে অনুযায়ী পোশাক বা ইউনিফর্ম তৈরি হবে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে তিন দিন দেশে সরকার না থাকার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১১ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। সেই বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও মনোগ্রামে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১২ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। আর কমিটির সদস্যসচিব করা হয় মো. নুরুজ্জামানকে।